কোনো এক বসন্তে যদি,
কোকিলের সুমিষ্ট ধ্বনি না শুনিতে পাই,
যদি ভ্রমর গুঞ্জন না করে
কিংবা পলাশ, শিমুল না ফোটে।
— সেদিনো আমি বসন্ত বিলাস করবো মনের হরিষে
যদি তুমি থাকো সাথে।
কোকিলের সুমিষ্ট কন্ঠ নয়,
চাই তোমার মায়া কন্ঠের ফিসফিসানির গানের ধ্বনি।
চাই না ভ্রমরের গুঞ্জন,
চাই তোমার নাসিক্যের গুনগুনানির সুর।
যদিবা পলাশ, শিমুল না ফোটে
তোমার ঠুটের কোণে লেগে থাকা হাসিটা দেখেই আমি বসন্তের স্বাদ নেবো ঋতুহীন ফাল্গুনে।
বসন্ত হয়ে এসো বারেবার আমারি মন-মন্দিরে, থেকো চিরকাল বাসন্তি হয়ে।
চাইনা কখনো মাঘের ধমকা হাওয়া হয়ে বিষন্নতায় ছেয়ে যাক আমার ভালবাসার মনো রাজ্যকে।
অবহেলা আর উপেক্ষার পাত্র হতে চাই না দর্পন কবির মতো,
চাই তোষামোদ মার্কা একরাশ প্রেমের চাদরে ডেকে থাকা তোমার আমার নব্য-বাস্তবতা নামক প্রেমের মহড়া,
যে সম্পর্ক হয়ে যাক এক চিলতে চিরকালের জন্যে।
অবহেলা নয় বসন্ত নিয়ে এসো আমারি দরজায় বারে বার প্রিয় বাসন্তিলতা।
আমি চাই না শরৎতের কাশফুলের ধবধবে সাদা বন,
আমি চাই সাদা শাড়ি পড়ে আচমা এসে কেড়ে নাও আমার মন।
শরৎতের চাঁদের উজ্জ্বল্য আলো চাই না,
দেখতে চাই তোমার ডাগরডোগর চোখের কাজল মাখা প্রশান্তির মায়া।
রচনাকাল : ২/৩/২০২১
© কিশলয় এবং বাহারউদ্দিন আহম্মেদ (শ্রাবণ) কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।