মেয়েটি শেষ বারের মতো কেঁদে উঠে চুপ করে গেল।ডাক্তার বললেন সময় ফুরিয়েছে। মা-বাবার কাঁদার ক্ষমতা টুকুও নেই।মেয়েকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা সবই বৃথা।তাই তারা আজ বড় ক্লান্ত।এখন শুধু ভাবছে সৎকারের খরচ টুকু জোগাড় হবে তো?এতদিন ভুগল,কেউ একবারও খোঁজ নিলোনা তার।বরং আত্মীয়দের ফোন করলেই শুনতে হয় অজস্র কটুবাক্য।হাত পাতা না কি তাদের স্বভাব হয়ে গেছে আজকাল। প্রতিবেশীরা দূর থেকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাই মা বাবা আর ডাকে নি কাউকে। যারা এতদিন খোঁজ নেয়নি তাদের কে আজ আর ডাকা বৃথা।তাই আর দেরি না করে মেয়েকে নিয়ে তারাই রওনা হল শ্মশানের দিকে।হায়রে!কি ভবিতব্য ।যাকে একদিন পরম আদরে পৃথিবীতে এনেছিল মা- বাবা আজ তাকেই নিজেদের হাতে শেষ বিদায় জানাতে হচ্ছে।তফাৎ শুধু একটাই।মেয়ে আসার সময় প্রচুর লোক পাশে ছিল,তখন তার বাবার ভালো চাকুরি ছিল।তারপর হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে চাকুরি বন্ধ হল।এক নিমেষেই পাল্টে গেল প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনদের মনের চেহারা গুলো, খুলে গেল সমাজের ভালোমানুষ এর মুখোশ।
রচনাকাল : ২২/২/২০২১
© কিশলয় এবং পূর্বালী চক্রবর্তী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।