যদি সময় হেঁটে চলত উল্টো পথে,
যদি ঘড়ির কাঁটা ঘুরত উল্টো দিকে,
পিছিয়ে যেতে পারতাম বেশ কিছুটা সময়,
সবকিছু পূর্বের ন্যায় শুরু করা যেত পুনরায়।
আবার ফিরে পাওয়া যেত সেইসব হারিয়ে যাওয়া দিন।
জীবনের রং হত পুনরায় ছন্দময় রঙিন।
কিন্তু তা কখনও বোধহয় হবার নয়।
অনেক চেষ্টা করেও হলাম ব্যর্থ।
তোমাকে বুঝতে বারবার হয়েছি অসমর্থ।
অনেকবার চেষ্টা করে দেখলাম কিন্তু ঘুরে ফিরে সব সেই একই রকম।
তোমার মধ্যে নেই কোনো পরিবর্তন!
জীবনে বারবার ঘটে চলেছে সুর-তালের ছন্দপতন।
ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে আর কতবার?
বড্ড জেদ তোমার!
তোমার খামখেয়ালিপনার কাছে তাই আজ পুনরায় করলাম হার স্বীকার।
প্রত্যেক বিষয়ের একটা সীমারেখা থাকা দরকার।
সম্পর্কের বাঁধন কি এতই ঠুনকো?
বারবার ভাঙাগড়ার খেলা খেলতে খেলতে আজ আমি বিপর্যস্ত,
বড্ড ক্লান্ত।
ভাঙা টুকরোগুলো জোড়াতালি দেবার চেষ্টায় আমি যখনই হয়েছি ব্যস্ত,
ঠিক তখনই তুমি কোনো না কোনো ছুঁতো খুঁজে ভাঙার নেশায় হয়েছ মত্ত।
জোড়া দিতে চাওয়া ব্যর্থ মনটা বারবার হয়েছে কথার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত।
বারবার জ্বলেছে হৃদয় ভালোবাসার মোহমায়ায়।
তোমার অবহেলিত ভালোবাসার খেলায় আমার আবেগ ধুলায় লুটিয়ে গড়াগড়ি খায়।
কিন্তু সে কথা বোঝার মতো মন তোমার আদৌ কি ছিল কোনোদিনও?
তোমার প্রতিশোধ মূলক অন্যায় আচরণ সতত করেছে ছিদ্র অন্বেষণ।
মনের গভীরে দগদগে ক্ষতর সৃষ্টি করেছে তোমার স্ফুলিঙ্গের ন্যায় বাক্যবাণ।
জীবনের ছন্দ আজ দিশেহারা,
বড়ো করুণ।
ইচ্ছে নেই আর পুনরায় পিছন পানে ফিরে তাকাবার,
স্মৃতিগুলো সব না হয় এবার এক এক করে হয়ে যাক ম্লান।
কোনো ক্ষতি নেই তাতে,
হয়ে যাক সব ধূসর, ফ্যাকাশে,
বিবর্ণ, মলিন।
সব পিছুটান এবার হয়ে যাক বিলীন।
রচনাকাল : ২২/২/২০২১
© কিশলয় এবং হিরণ্ময় দত্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।