নিত্য দেখি আসতে যেতে,
মোড়ের মাথায় ভিক্ষা নিতে,
থাকে সে পথের ধারে
ভাঙাচোরা এক ঝুপড়ি ঘরে।
ময়লা চেহারা জীর্ণশীর্ণ,
তার পরনের শাড়িটাও শতছিন্ন,
কখনও হাসে কখনও কাঁদে
ঠকঠকিয়ে শীতে কাঁপে।
উসকোখুসকো রুক্ষ চুলে সারা গায়ে খালি ধুলোবালি,
মোড়ের মাথায় বসে থাকে বাটি হাতে এক পাগলি।
খেয়াল হয় বেশ কিছুদিন পর,
পাগলিটার স্ফীত উদর,
কোন সে পশুর রিপুর তাড়না
পাগলি টাকে বানাল মা?!
নিজের ফূর্তি ষোলোআনা
বোঝেনি পাগলির পাগলপনা,
রাতের অন্ধকারে চুপিসারে
বিকৃত কাম পূরণ করে।
নরাধম তাই ধর্ষণ করে গা ঢাকা দিয়ে পালায় দূরে,
সমাজের বুকে মুখোশ পরে চুপিসারে বেড়ায় ঘুরে।
পাগলিটা যথারীতি প্রসব করে
দশ মাস দশ দিন পরে,
সদ্যোজাত বাচ্চা কোলে
খিলখিলিয়ে সে হেসে চলে!
স্নেহভরে সন্তানকে আদর করে
বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে,
পাগলি হলেও আছে ভালোবাসা
সন্তানের প্রতি স্নেহ মমতা।
রচনাকাল : ২২/২/২০২১
© কিশলয় এবং হিরণ্ময় দত্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।