জ্বলন্ত বিড়ির টানে যখন দিগন্ত বিস্তৃত অন্ধকার আচমকা আলোকিত হয়েওঠে,
তখন সেই রহস্যময় অন্ধকার পৃথিবীর বুক ছিড়ে অমলিন ভালোবাসা জেগে উঠে ।
নিজের সত্তা হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া ছেলেটা ঘরে ফিরছে,
তৃপ্তির হাসি তার কপোল ছুঁয়েছে কারণ বেকারত্ব তার ঘুচেছে হকারিতে।
বহুচাহিদার বহু প্রেরণার বাতিঘর তার শিক্ষা ফলাফল থেকে কাগজে পরিণত,
সে শুনেছে অনেকের খোঁটা, বেকার চাকরি পায়নি; প্রতিনিয়ত।।
আজও ভুলতে পারে না সেই অঙ্কের প্রতি পাতা যেখানে তার শিক্ষা ফুটে উঠতো।
আজ তারা কাগজ, ঝালমুড়ির ঠোঙ্গা হয়েছ কিম্বা হিসাবের ফর্দ কখনো কখনো।।
গুটি কয়েক বই ছিল যা সে কিনেছিল টিউশন পরিয়ে আরো পড়বে বলে,
অভাবে সেটাও বিক্রি করতে হচ্ছে কিলোদরে সংসার চালাবে বলে!
বাড়িতে অভাব, বাবার ওষুধ, কুমারী বোন সব করা নারে,
অহেতুক নেশার টাকা বাঁচাতে সিগারেট ছেড়ে সে বিড়ি টানা ধরে!
আমিও ওদের দলে, আমি অন্য নই!
এরকম কত ছেলে ভেসে যায় এই বাস্তবেই।
অর্ক বন্দোপাধ্যায়
নিউটাউন কলকাতা
রচনাকাল : ১৯/২/২০২১
© কিশলয় এবং অর্ক ব্যানার্জী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।