গাঁয়ে আছে ছায়া গাঁয়ে আছে মায়া
গাঁয়ের মানুষ আপন (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমাদের গ্রামখানি সবুজের ছায়ে,
সীমানায় নদীতট রাঙাপথ বাঁয়ে।
সকালের সোনারোদ করে ঝলমল,
অদূরে অজয় নদী বহে কল কল।
গরু নিয়ে মাঠে চলে গাঁয়ের রাখাল,
তরুছায়ে করে খেলা নিয়ে গরুপাল।
মানস উদাস হয় পক্ষীর কুজনে,
কল্সী কাঁখে কূলবৌ চলে আনমনে।
গাঁয়ে আছে আমবন শালবন দূরে,
রাখাল বাজায় বাঁশি রাখালিয়া সুরে।
শালবনে বনটিয়া ঝাঁকে ঝাঁকে নাচে,
অজয়ের ঘাট গ্রাম সীমানার কাছে।
রাঙাপথে দুইধারে সারি সারি গাছ,
জলাশয়ে জাল ফেলে জেলে ধরে মাছ।
গাছে গাছে পাখি সব কলরব করে,
সাঁঝের আঁধার নামে অজয়ের চরে।
জ্বলে দীপ সন্ধ্যা আসে নামে অন্ধকার,
ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে শঙ্খের ঝঙ্কার।
চাঁদ উঠে তারা ফুটে রাতের আকাশে,
শৃগালের হুক্কা হুয়া ডাক ভেসে আসে।
রচনাকাল : ১/২/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।