ভারতীয় সেনা দলের সেনা দুর্জয় সিং সবেমাত্র বর্ডারে যুদ্ধ করে এসে নিজের তাঁবুতে শুয়েছে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। হঠাৎ ওয়্যারলেস রিসিভার বেজে উঠল। কানে দিতেই ওপাশ থেকে হাই কমান্ডের কথা শুনতে পেল। জওয়ান দুর্জয় সিং প্লিজ কাম মাই অফিস। ইমিডিয়েটলি। দুর্জয় সিং বলল, ওকে স্যার। আমি আসছি।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই দুর্জয় সিং হাইকম্যান্ডের ঘরে পৌছালো। ঘরে ঢুকতেই হাইকম্যান্ড সুজয় রানে বলল, বসো দুর্জয়। আমি জানি তুমি খুব ক্লান্ত। কিন্তু কি করব বলো। এমন একটা ব্যাপার ঘটেছে, যে তোমাকে বাধ্য হলাম ডাকতে। দুর্জয় বলল, কি ঘটেছে স্যার। সুজয় রানে বলল, তুমি তো জানো বর্ডারের ওপারেই চীন। আর বর্ডার বাসীদের স্কুল হল, দুই বর্ডারের মাঝে। গতপরশু চীনারা কয়েকজন ভারতীয় মেয়েকে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ওদের কে উদ্ধার করতে হবে তোমায়। আর তোমার সময় মাত্র 15 দিন। কারণ 15 দিন পর স্বাধীনতা দিবস। আমি চাই চোদ্দ তারিখ রাত বারোটার মধ্যে তুমি ওদের কে নিয়ে আসবে। আর তোমার যা যা লাগবে, আমি বলে দিচ্ছি। সব পেয়ে যাবে। আর তুমি তো ছদ্মবেশ ধরতে ওস্তাদ। আর পঁচিশ রকমের ভাষা জানো তুমি। ফলে ওদের কে উদ্ধার করার জন্য তুমিই সবদিক দিয়ে পারফেক্ট।
পরেরদিন সকালে চীনা বর্ডারের সামনে একটা লোককে ঘোরঘুরি করতে দেখা গেল। সেই লোকটার পড়নে একটা শতচ্ছিন্ন আলখাল্লা। মাথার চুল উস্কো খুস্কো। বর্ডারের দ্বাররক্ষী তাকে দেখতে পেয়ে নিয়ে গেল সেনা নায়কের সামনে। সেনা নায়ক তাকে দেখে বলল, একে ফেলে রাখ কারাগারে। পরে একে দেখছি। এই বলে লোকটিকে কারাগারে আটকে লাগল। লোকটি একটি ট্রান্সমিটার অন করে দিয়েছিল। যার অপর দিকে ছিল ভারতীয় সীমান্ত। লোকটাকে তেরো দিনের মাথায় নিয়ে গেল বিচারের জন্য। লোকটার গায়ে থাকা আলখাল্লা টা সড়তেই লোকটার সারা গায়ে সবাই দেখল বোমা বাধা আছে। লোকটা বলল, আমি দুর্জয় সিং। আমি মেয়েদের ছাড়াতে এসেছি। কেউ যদি আমার গায়ে হাত দাও। তাহলে কিন্তু রিমোট টিপে দেব। আর সবশুদ্ধ তোমরা উড়ে যাবে। এইভাবেই দুর্জয় ওদের কে ছাড়িয়ে আনল।
রচনাকাল : ৪/১/২০২১
© কিশলয় এবং দেবমাল্য মুখার্জী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।