অলৌকিক
আনুমানিক পঠন সময় : ৯ মিনিট

লেখক : রূপক ঘোষ
দেশ : ভারতবর্ষ , শহর : কলকাতা

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০২০ , জুন
প্রকাশিত ৫৩ টি লেখনী ৩৪ টি দেশ ব্যাপী ১৩৯০৯ জন পড়েছেন।
Rupak Ghosh
~ অলৌকিক ~ 
রূপক ঘোষ 

    রামতনু ভট্টাচার্য্য রাগ করে সত্যি সত্যিই বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি ছেড়ে। সংসারে নিত্য-নতুন অশান্তি আর ভাল লাগছে না। এতদিন যজমানি করে যা হোক কিছু উপার্জন হচ্ছিল, এখন গ্রামে নতুন একজন ব্রাহ্মণ আসায় উপার্জনে টান পড়েছে। বাড়িতে চার-চারটি প্রাণীর মুখে অন্ন তুলে দিতে কিছু একটা করতেই হবে তাকে। কিন্তু কিবা করতে পারে সে! মাথায় আসছিল না কোনকিছু। 

গ্রীষ্মকালের দুপুর, মাথার উপর সূর্যের লেলিহান শিখার তেজ রামতনু ভট্টাচার্য্যকে একেবারে কাহিল করে তুলেছে। রাগের বশে ছাতাটাও সঙ্গে নিতে ভুলে গেছে। শুধু ঝোলার মধ্যে শালগ্রাম শিলা আর পুজোর টুকিটাকি কয়েকটা উপকরণ আছে এই যা। গ্রামের মেঠো পথ ধরে পঁচিশ-ত্রিশ মাইল হাঁটার পর রামতনু ভট্টাচার্য্যর হাঁটার শক্তি প্রায় নি:শেষ হয়ে এল। অবসন্ন হয়ে একটা বটগাছের ছাওয়ায় বেশ কিছুক্ষন জিরিয়ে নিলেন। পাশেই একটা দিঘী থেকে দু-এক আঁচলা জল তুলে মুখে বেশ কয়েকবার ঝাপটা মারার পর যেন খানিকটা বল ফিরে পেলেন। এদিকে সন্ধে হয়ে আসছে, এই গ্রামে রামতনু ভট্টাচার্য্য আগে কোনদিন আসেননি, কাজেই রাতে কোথায় থাকবেন কি খাবেন এই চিন্তা তাকে ব্যাকুল করে তুলল।

    হঠাৎ নজরে পড়ল দীর্ঘকায় এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক উল্টোদিক থেকে হেঁটে আসছেন তারই দিকে। মনে মনে খানিকটা জোর পেলেন রামতনু ভট্টাচার্য্য। ওনাকে জিজ্ঞেস করে আজকের রাতের মত থাকার একটা আশ্রয় করতেই হবে তাকে। রামতনু ভট্টাচার্য্য নিজে থেকেই এগিয়ে গেলেন ওই ভদ্রলোকের দিকে। 
“নমস্কার” রামতনু ভট্টাচার্য্য বলে উঠলেন।
প্রতি নমস্কারে ওই ভদ্রলোকও বললেন- 
“আমি অনাদি গুপ্ত। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক ঠাহর করতে পারলাম না। আপনি এই গ্রামের বলেও তো ঠিক মনে হয় না।”
“ঠিকই ধরেছেন আপনি, আমি এই গ্রামের লোক নই। আমি থাকি দিগনগর গ্রামে।”
“সেতো এখান থেকে অনেক দূর! তা আপনি এই অসময়ে যাচ্ছেন কোথায়? এই গ্রামে কি আপনার কোন আত্মীয়-পরিজন থাকেন?”
রামতনু ভট্টাচার্য্য নিরুপায় হয়ে অনাদিবাবুকে তার সংসারের সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। এমন কি স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে বেরিয়ে যাওয়া কোন কিছুই বাদ দিলেন না। অনাদিবাবু সব শুনলেন। 
“ ভট্টাচার্য্যমশাই, আপনি একজন ব্রাহ্মণ মানুষ। আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে এই অধমের বাড়িতে আজকের রাতটুকুর জন্য আতিথ্য গ্রহণ করতে পারেন। বাড়িতে যা আছে তাতে কোনরকমে আজকের রাতটুকু দুজনের হয়ে যাবে।”
রামতনু ভট্টাচার্য্য যেন হাতে স্বর্গ পেলেন। তিনি অনাদিবাবুর হাত দুটি জড়িয়ে ধরে বললেন- “ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।”
ঈশ্বরের কথা শুনে অনাদিবাবু একটু মুচকি হাসলেন; যেটা রামতনু ভট্টাচার্য্যর দৃষ্টি এড়াল না, কিন্তু মুখে কিছু বললেন না। 

    প্রায় মিনিট পনের হাঁটার পর রামতনু ভট্টাচার্য্য অনাদিবাবুর বাড়ির সামনে উপস্থিত হলেন। ভাঙা-চোরা বিশাল বড় বাড়ি, কিন্তু এখন তার জৌলস সম্পূর্ণ অস্তমিত। সামনে বিশাল বাগান অযত্নে নষ্ট হয়ে আছে। উঁচু পাঁচিলের বিশেষ কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। বাড়ির চারিদিকে বড় বড় ঝোপঝাড় হয়ে আছে। একপাশে শান বাঁধানো পুকুর শুকিয়ে গেছে, দেখলেই বোঝা যায় এককালে গৃহস্বামীর অবস্থা খুব ভাল ছিল। অনাদিবাবু বাড়িতে ঢুকে একটা হ্যারিকেন ধরালেন। হ্যারিকেনের অস্পষ্ট আলোতে রামতনু ভট্টাচার্য্য বাড়ির ভিতরটা দেখতে পেলেন। বেশিরভাগ ঘরগুলিই ভেঙেচুরে গেছে। একটা ঘরের দরজার তালা বন্ধ, তালায় মরচে পড়ে গেছে। দেখেই বোঝা যায় বহুদিন ওই ঘরে কারোর পদার্পণ ঘটে নি। বাড়ির ভিতরের বারান্দায় একটা বিশাল ঝাড়বাতি ঝুলছে। বারান্দার একপাশে কয়েকটা আরাম কেদারা অযত্নে- অবহেলাতে পড়ে রয়েছে। মাকড়সার জালে বারান্দা ছেয়ে আছে। শুধু এই ঘরটা কোনরকমে থাকার মত অবস্থায় রয়েছে। ঘরে শোবার কোন খাট নেই, মনে হয় গৃহস্বামী মেঝেতেই বিছানা পেতে শয়ন করেন। তাহোক, ঈশ্বরের কৃপায় আজকের রাতটা থাকার মত একটা আশ্রয় পাওয়া গেছে এই ঢের! গৃহস্বামী আলু-সিদ্ধ ভাত খেতে দিলেন। খিদের মুখে তাই রামতনু ভট্টাচার্য্যর কাছে অমৃত বলে মনে হল।

    খাওয়া-দাওয়া শেষে অনাদিবাবু হ্যারিকেনের শিখাটা কমিয়ে দিতেই কেমন জানি একটা গা ছমছমে পরিবেশের সৃষ্টি হল। একেই অমাবস্যার রাত, বাইরে ঝড়ো হাওয়া বইছে, গ্রামটাও যেন পুরো নি:স্তব্ধ হয়ে আছে। কোথাও কোন বাড়িতে কোন আলো দেখা যাচ্ছে না। রাত প্রায় বারোটা হবে, বাইরে এক নাগাড়ে ঝিঁঝির ডাক শোনা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে দূর থেকে শিয়ালের ডাক ভেসে আসছে। রামতনু ভট্টাচার্য্যর কেমন যেন গা ছমছম করতে লাগল। অনাদিবাবু যেন রামতনু ভট্টাচার্য্যর মনের কথাটা পড়তে পারলেন। তাই রামতনু ভট্টাচার্য্যর কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন-“ কি মশাই ভয় পেলেন নাকি? দাঁড়ান আপনাকে একটা গল্প বলি। গল্প শুনতে শুনতে ভোর হয়ে যাবে, আপনিও আপনার কাজে বেরিয়ে পড়বেন।” 

অনাদিবাবু বলতে শুরু করলেন-“ আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগের ঘটনা। এই যে গ্রামটা দেখছেন এই গ্রামটার নাম মালতিপুর। এই গ্রামের বেশিরভাগই ছিল বাগদি আর কায়েত। শুধু কয়েক ঘর ব্রাহ্মণের বাস ছিল এই গ্রামে। এই ব্রাহ্মণদের মধ্যে হরিহর চাটুজ্যে ছিলেন অত্যন্ত কুটিল স্বভাবের। ব্রাহ্মণের সন্তান না হয়েও কেউ এই গ্রামের জমিদার হবেন সেটা তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেন না। নিজের মনে মনে রাগ পুষে রেখেছিলেন বরাবরই। জমিদারের পরিবারে ছিল স্ত্রী এবং দশ বছরের এক কন্যা। ভারি মিষ্টি স্বভাবের মেয়েটিকে গ্রামের সকলেই অত্যন্ত স্নেহ করত। জমিদার নিজেও ছিলেন মহোপকারী। গরীব প্রজাদের আপদে-বিপদে সবসময় পাশে থাকতেন। একবার হঠাৎ এই গ্রামের ঘরে ঘরে ওলাওঠা দেখা দিল। প্রতিদিনই গ্রামের কেউ না কেউ মারা যেতে লাগল। তখন চিকিত্‍সা বিদ্যাও এখনকার মত তেমন উন্নত ছিল না। বিশেষত: গ্রামে চিকিত্‍সার সুযোগও ছিল খুব কম। শুধু কি তাই? গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই  রোগীর জামা-কাপড় যে পুকুরে কাচাকাচি করত, সেই জলই তারা আবার ব্যবহার করত। ঠিক এই কারণে জমিদার নিদান দিলেন কেউ যেন রোগীর ব্যবহার্য জামা-কাপড় পুকুরে কাচাকাচি না করে পুড়িয়ে ফেলে। অশিক্ষিত গ্রামবাসী সে কথা বুঝবে কেন? তারা জমিদারের বারণ না শুনে সেই পুকুরই ব্যবহার করতে লাগল। ফলে ওলাওঠা রোগে আরও বেশি করে গ্রামবাসী মারা যেতে লাগল। নিরুপায় হয়ে জমিদার নিজের বাড়ির দিঘীর ব্যবহার যাতে গ্রামবাসীরা করতে না পারে তার জন্য গ্রামবাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিলেন। হরিহর চাটুজ্যে ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগালেন। তিনি গোপনে ভিতর ভিতর গ্রামের অশিক্ষিত মানুষগুলোকে জমিদারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুললেন। জমিদার এর বিন্দু-বিসর্গ জানতে পারলেন না।এদিকে প্রজাদের মঙ্গলের জন্য তিনি কলকাতায় গেলেন চিকিত্‍সক আনতে এবং চিকিত্‍সার প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যোগাড় করতে। এই সুযোগে হরিহর চাটুজ্যে তার অনুগত কিছু বাগদিকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে জমিদারের বাড়িতে ঢুকে যে ঘরে জমিদারের স্ত্রী ও কন্যা থাকত সেই ঘরটা বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল। জীবন্ত সমাধি হয়ে গেল জমিদারের স্ত্রী ও কন্যার। জমিদার ফিরে এসে এই ঘটনার শোকে উন্মাদ হয়ে গেলেন। এই ঘটনার পর থেকে জমিদারকে গ্রামে আর কেউ কোনদিন দেখতে পান নি। ধীরে ধীরে ওলাওঠা রোগে পুরো গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। এক-দুজন যারা কোনমতে পালিয়ে পাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন তারাই শুধু বেঁচে গিয়েছিলেন সেই যাত্রা। ওই যে দূরে শ্মশান দেখছেন সেখানেই দাহ করা হয়েছিল জমিদার কন্যা ও তার স্ত্রীকে। আমি শুনেছি প্রতি অমাবস্যার রাতে জমিদার নাকি তার স্ত্রী ও কন্যাকে দেখতে পান, তাদের সাথে কথা বলেন। সত্যি-মিথ্যা বলতে পারব না। আজও অমাবস্যা জানিনা আজ আবার সেই ঘটনা ঘটবে কিনা!”

    ঠিক সেই মূহুর্তে ঝড়ের দাপটে হ্যারিকেনটা দপ করে নিভে গেল। বাইরে শিয়াল ডেকে উঠল। ঝড়ের দাপটে দরজা-জানালাগুলো সজোরে ধুপধাপ করে পড়তে লাগল। ঘর একেবারে অন্ধকার। রামতনু ভট্টাচার্য্য প্রচণ্ড ভয় পেয়ে চিত্‍কার করে অনাদিবাবুকে ডাকতে লাগলেন।
“অনাদিবাবু আপনি কোথায়?”
“এইতো তালা বন্ধ ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।” 
রামতনু ভট্টাচার্য্য কোনরকমে অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে অনাদিবাবুর হাতটা ধরে ফেললেন। কিন্ত একি! হাতটা তো বরফের মত ঠান্ডা! রামতনু ভট্টাচার্য্য ভয়ানক আতঙ্কে চিত্‍কার করতে চাইলেন কিন্তু গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বার হল না। ঠিক সেই মূহুর্তে বিদ্যুতের ঝিলিক ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল। রামতনু ভট্টাচার্য্য ওই আলোতে দেখলেন তালা বন্ধ ঘরটা খুলে গেছে আর ঘর থেকে আর্তনাদ করতে করতে বেরিয়ে আসছে একটি নারী ও একটি শিশু। দুজনের দেহ আগুনে দাউ-দাউ করে  জ্বলছে। অনাদিবাবু নিজে জড়িয়ে ধরেছে দুজনকে আর কি যেন বলার চেষ্টা করছে। তার সারা শরীরে বিন্দুমাত্র মাংস নেই। এরই সাথে সাথে সারা বাড়িটা দুলে উঠে ভেঙে পড়ল রামতনু ভট্টাচার্য্যর চোখের সামনে! 

    জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন রামতনু ভট্টাচার্য্য। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখলেন সকাল হয়ে গেছে। নিজে শুয়ে আছেন ঝোপ-ঝাড়পূর্ণ একটা মাঠের ধ্বংস-স্তুপের মাঝে। ধীরে ধীরে গত রাতের ঘটনাটা মনে পড়তেই কোনরকমে উঠে পড়ে সামনের রাস্তা ধরে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে লাগলেন। কতক্ষন ছুটেছেন নিজেই জানেন না। ছুটতে ছুটতে হটাত্‍ সামনে একটা জনবসতিপূর্ণ গ্রাম দেখতে পেলেন। দেখলেন সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক অশীতিপর বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধ রামতনু ভট্টাচার্য্যকে কোনক্রমে ধরে ফেলে ওনার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে দিলেন। রামতনু ভট্টাচার্য্য খানিকটা ধাতস্থ হলে উনি এই অস্বাভাবিক আচরণের কারণ জানতে চাইলেন। রামতনু ভট্টাচার্য্য গত রাতের ঘটনাটা হুবহু বর্ণনা করলেন। সব শুনে ওই অশীতিপর বৃদ্ধ বললেন-
“মশাই আপনি যে ঘটনার কথা বললেন সেটা আমাদের গ্রামের আমাদের মত দু-একজন বৃদ্ধ ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আমি আপনার কথা বিশ্বাস করছি, কারণ আমি জানি আপনার সাথে কি ঘটেছিল গত রাতে। যে ভগ্নাবশেষের উপর আপনি  শুয়েছিলেন  আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে ওটা ছিল মালতিপুরের জমিদার অনাদি গুপ্তের জমিদার বাড়ি। ওই গ্রামের এখন আর কেউ বেঁচে নেই। ওলাওঠা রোগে ওই গ্রামের সবাই মারা গিয়েছেন। একসময় আমি ওই গ্রামেই বাস করতাম। তখন আমার বয়স খুব কম ছিল। এই ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামে কেউ বাস করে না। আপনি তালা বন্ধ যে ঘরটা দেখেছিলেন , সেই ঘরেই তালা বন্ধ করে জমিদারের স্ত্রী ও কন্যাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আর আপনি যে নারী ও শিশুকে জ্বলন্ত অবস্থায় আর্তনাদ করতে দেখেছিলেন তারাই হলেন অনাদি গুপ্তের স্ত্রী ও কন্যা। অনাদি গুপ্ত নিজে ওই বাড়িতেই এক গোপন কুঠুরিতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।মৃত্যুর পরেও অলৌকিক বলে  কিছু থাকে বলে যদি আপনি বিশ্বাস করেন, তাহলে বলি অনাদি গুপ্ত তার স্ত্রী ও কন্যার মায়ার টানে আজও নাকি প্রতি অমাবস্যার রাতে ওই ঘরে দেখা করতে আসেন। তাদের অতৃপ্ত আত্মার শান্তি হয় নি এখন। অনাদিবাবু পরোপকারী ছিলেন বলেই বোধহয় আপনার বিপদের দিনে আপনাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস উনি আপনাকে এই ঘটনাটা শুনিয়েছিলেন এই কারণে যাতে আপনি তাদের অতৃপ্ত আত্মাকে মুক্তি দিতে পারেন।”

    রামতনু ভট্টাচার্য্য মন্ত্রমুগ্ধের মত ওই বৃদ্ধের কথা শুনলেন। তারপর ধীরে ধীরে উঠে পড়লেন। না অনেক শিক্ষা হয়েছে! আর নয়, নিজের বাড়িই ফিরে যেতে হবে। তবে যাবার আগে নিজে থেকে অনাদিবাবুর পরিবারের নামে নিবর্পণ করে তাদের আত্মাকে মুক্ত করে দিলেন। এরপর থেকে এই ঘটনা আর কোনদিন ঘটেছে বলে শোনা যায় নি। 

                    ----*----                         
    
          
               
          



রচনাকাল : ২২/১২/২০২০
© কিশলয় এবং রূপক ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Australia : 1  Canada : 3  China : 3  France : 1  Germany : 1  India : 68  Ireland : 1  Philippines : 1  Romania : 1  Russian Federat : 10  
Saudi Arabia : 4  Sweden : 78  Ukraine : 4  United States : 115  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Australia : 1  Canada : 3  China : 3  France : 1  
Germany : 1  India : 68  Ireland : 1  Philippines : 1  
Romania : 1  Russian Federat : 10  Saudi Arabia : 4  Sweden : 78  
Ukraine : 4  United States : 115  
© কিশলয় এবং রূপক ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
অলৌকিক by Rupak Ghosh is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৫৪১২৫৭
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী