ভূতের কেত্তন দেখবি যদি নিশীথ রাতে আয়,
মুণ্ডু-কাটা ধড়গুলি সব নাচে ঘুঙুর পায়।
মুণ্ডু গুলি সব শূন্যে ঘোরে জংলা ঝিলের পাড়ে,
টেরটি পেলেই ঝপাৎ করে ভর করবে ঘাড়ে।
শাঁখচুন্নি আর পেত্নী গুলির নখটা লম্বা খোঁচা,
দাঁতগুলি সব সামনে উঁচু ,নাকটা বোঁচা বোঁচা।
খ্যাংড়া -কাঠি ব্রম্মদৈত্যির মাথায় চোঙা টোপর,
নাকি সুরে হাসেন,কাশেন ,কাজে নেই ফাঁক ফোকর।
আনবি সাথে গরম তেল আর মোটা মুড়া ঝাঁটা,
এদিক-ওদিক হলেই কিন্তু বেঘোরে যাবে প্রাণ-টা।
মানুষের গন্ধ পেলেই মামদো ঘন ঘন হাঁচে,
শ্যাওড়া গাছের মগডালে উঠে তিড়িং বিড়িং নাচে।
পেত্নী গুলি কটর-মটর খায় কলাই ভাজা,
হাড় সর্বস্ব মাতাল ভূত টানে কলকেয় গাঁজা।
জাতে মাতাল তালে ঠিক ,হয়না বেসামাল,
লম্ফ দিয়ে শূণ্যে উঠে ধরে পঙ্গপাল।
শাঁখচুন্নী গাছের তলে নাকি সুরে কাঁদে,
যে যায় সেথায় সুযোগ পেলেই ফেলে প্রেমের ফাঁদে।
দেখতে পাবি ভূতের কেত্তন থাকলে বুকের পাটা,
আবছা আলোয় ঝিলের ধারে বাঁধবি জ্যান্ত পাঁঠা।
রাখবি কতক বাটা,ল্যাঠা,চুনো মাছের ভাণ্ড,
রাত বাড়লেই দেখতে পাবি মেছো ভূতের কাণ্ড।
তরতরিয়ে নামে ওঠে শ্যাওড়া গাছটা বেয়ে,
দেখবি কীর্তি গেছো ভূতের নির্জন মাঠ-টা পেরিয়ে।
রাম লক্ষণের আনবি ছবি ,জপবি রাম নাম,
রাখবি মনে, আসবি একা ,পুরবে মনস্কাম।
রচনাকাল : ১৪/১১/২০২০
© কিশলয় এবং যুথিকা দেবনাথ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।