ঈর্ষা
মোঃ তোফায়েল হোসেন
তোমার সোমত্ত কটুক্তির আকর্ষণে
যদি ছিনতাই করে এনে
টেন্ডারে পাওয়া সেগুন কাঠের খাটে
জলজ দৃশ্যের চাদরে করি আচ্ছাদন।
কামনার মুদ্রিত প্রবঞ্চনার অনুচ্ছেদে
যদি প্রতিশ্রুতির প্রতিবিম্ব দেখিয়ে
প্রহেলিকা হ্যাজাকের নিবিড় উত্তাপে
আরাধনাময় অনুরাগে ঘুম পাড়াই।
তারপর
যুগপৎ ঈর্ষায়- এ রাতে যদি জাগো
জাগুক তোমার মন
ভালোবাসা, প্রেম-শিহরণ।
বক্ষস্থলে দক্ষ হাত রেখে
যদি আসক্ত করি
জন্মান্তরের দাম্ভিক ধর্মঘট
ভেঙ্গে কী প্রস্ফুটিত হবে না।
বিস্তীর্ণ লজ্জায় সংকীর্ণ মজ্জায়
যদি হই সুদক্ষ সরীসৃপ
টলমল তনুর পিপাসিত পান্থশালার
দুর্গম জলপ্রবাহে ডুব কী দেব না।
অজানা আশায়- এ ক্ষণে যদি ডুবো
ডুবুক তোমার দুর্ভাবনা
কাঁপুক শিরা উপশিরার আরাধনা।
জ্বালাময় রক্তাক্ত গুপ্ত সংকেতে
যদি জারী করি সমন
বিস্মৃত ঘর্ষণের বর্ষণে অখণ্ড অসুখ
ধাবিত বিক্ষিপ্ত ঢেউয়ে অচেনা সুখ।
পারদগলা উষ্ণতায় প্রবাহিত সঙ্গতায়
যদি হতে পারি- প্রিয়
এ জলোচ্ছ্বাসের পরিধি বিস্তৃত করে
তোমার বন্দরের হাতছানি দিও।
অতঃপর
উপুড় অপরাহ্নে- তুমি কী পবিত্র
নাকি তোয়াক্কা না করেই
আমায় দিচ্ছ ছাড়পত্র!
***
রচনাকাল : ১১/১১/২০২০
© কিশলয় এবং মোঃ তোফায়েল হোসেন কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।