মাঠে মাঠে কার্তিকের শেষের ধান। সবুজ লকলকে শিষ ধা ধা করে বেড়ে উঠছে শীত জমে আসার সঙ্গে সঙ্গে। দিনের হাওয়াতেও এখন একটা মিঠেভাব। গাঁ-দেশে এই কার্তিকের শেষে সন্ধের দিকে হিম পড়তে শুরু করে। বাংলার সকল চাষী। ধান মাড়াতে ব্যস্ত গাঁয়ের. কৃষাণ-কৃষাণীর দল. হেমন্তের জোসনা মাখা রাত. আনন্দ কোলাহল। কৃষাণীরা রান্নার ফাঁকে. কুলাতে ঝাড়ে ধান. ধাপুর ধুপুর ঢেঁকি নাচে. গেয়ে হেমন্ত গান। এমন সময় কুটুম এলো. পিঠা-পুলি খেতে. নবান্নে গ্রাম বাংলার মানুষ. উৎসবে যায় মেতে। হেমন্তের বাতাসে. শিশির ভেজা নরম ঘাসে। জোছনা রাতে জোছনা ঝরে মাটির উঠানে। দূরে কোথাও বা বেজে ওঠে সাঁঝের সানাই।
কার্তিকের ধানের খেতে..... হেমন্তের আগমন
সোনার ধান জুড়ায় প্রাণ (প্রথম পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মাঠেমাঠে সোনা ধান ঢেউ খেলে যায়,
সকালে শিশির ঝরে ঘাসের আগায়।
রাখাল গরুর পাল নিয়ে মাঠে চলে,
আকাশেতে ঘুঘু পাখি উড়ে দলে দলে।
রাঙাপথে জল নিতে আসে যত মেয়ে,
বাউলেরা মেঠো পথে চলে গান গেয়ে।
বাজে বাঁশি সুর ভাসে শুনি আনমনে,
বাজায় মাদল কারা দূরে কোন বনে।
অজয়ের নদীতটে যাত্রীদের ভিড়,
যাত্রীদের কোলাহলে ভরে ওঠে তীর।
দিন যায় সন্ধ্যা নামে অজয়ের চরে,
জোছনায় করে স্নান সারারাত ধরে।
কার্তিকে ধানের খেত হেমন্তের গান,
কবিতায় লিখে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।
রচনাকাল : ১/১১/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।