পোকামাকড়
প্রতিবেশি যে ক্ষতি বেশী তা এদের দেখলেই বোঝা যায়।উপকারে তো নেইই উলটে নুন্যতম শান্তিটুকু বজায় রাখতে পারেনা।দিন নেই রাত নেই সারাক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি।কত্তার গলায় জল পড়লে শুরু হয় খিস্তির সলিলকি।গিন্নীর তো ঝগড়া তার ছেলে-মেয়ের সাথে লেগেই আছে।একটা ঘরে যেভাবে গাদাগাদি করে শোয়...লকডাউনে ফ্যাক্টরির কাজ গেলে মাংস কেটে দিন চলে।সঙ্গে বাড়ির দালালিতো আছেই।সাধ্য ওই এক আঙুল সমান অথচ সাধ আকাশ ছোঁয়।এ হেন লোকজনদের মনে মনে গুলি করে মারবার বাসনা পোষণ করলেও বাস্তবে এড়িয়েই যায়।সেই তারাই এ.সি কিনে এ.সি চালানো তার সম্বাব্য বিল ইত্যাদি নিয়ে সোহমের সাথে কথা বলে।সোহমের ইচ্ছে না থাকলেও ভদ্রতার কারণে যায়।ও বোঝে এ.সিটা এদের একটা স্টেটাসের প্রতীক।সোহম এইসব অসম প্রতিযোগিতা পছন্দ করে না।কোথায় তার আই.টির দামী চাকরী আর কোথায় এইসব পোকামাকড়।রাতে গিয়ে কাজ থেকে ফুরসৎ মিললে ও বান্ধবীর সাথে পরিচিত অন্তরঙ্গতার কথা চালাচালি চালালেও তারই ফাঁকে এটা জানাতে ভোলে না, 'অমুকরা এ.সি কিনেছে।ভাবা যায়!নির্ঘাৎ দু'নম্বরী করেছে।নইলে নইলে কি ভাবে।
প্রতীক মিত্র
রচনাকাল : ১/১১/২০২০
© কিশলয় এবং প্রতীক মিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।