রোদ ঝলমল নীল আকাশে
এসেছে মোদের শরৎ
কাশফুল আর ঢাকের বোল
উঠবে মেতে জগৎ।
ওই যে দূরে নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা,
হলুদ, সবুজ, সাদা, নীল, লাল
হরেক ফুলের মেলা।
শিউলী ফুলের সুগন্ধে
মত্ত চারিপাশ...
আগমনীর শুভাগমন
নতুন প্রাণের আশ।
মহালয়ার পূণ্য প্রাতেঃ
আগমনী গান গাই......
মা আসবে মোদের ঘরে
খুশির সীমা নাই।
চারটি দিনের হইচই
আর মাকে দেখার ধুম
আটের ছেলে আশির বুড়ো
নেইকো চোখে ঘুম।
কোথাও বা থিমের পুজো
কোথাও সনাতনী,
যেমন রূপেই আসুক না মা
এটা বাঙালীর আগমনী।
দশমীতে সিঁদুর খেলা
মায়ের রাঙা চরণ দুটি,
বিষাদ ভরা হৃদয় নিয়ে
মা যে নিলেন ছুটি।
সাতদিন পর কোজাগরী,
এল মোদের লক্ষ্মী
পূর্ণিমা চাঁদ বললো হেঁকে
"আমি হলাম সাক্ষী"।
ধীরে ধীরে পূর্ণিমা চাঁদ
পড়ল যে ওই ঢাকা
কালো রূপের কালী মায়ের,
চললো রথের চাকা।
"কোথায় জবা, কোথায় রে তুই?"
মা বললেন হেঁকে
"এইতো মা গো, চরণ তলে"
বলল জবা হেঁসে।
মায়ের রূপে ঘুচল সেথা
অমাবস্যার কালো,
মা বোনেরা প্রদীপ নিয়ে
জ্বাললো যেথা আলো।
দেওয়ালীতে আলোর মেলা
বাজি পোড়ানোর ধুম,
হেথা হোথা পটকা ফাটে
দুম দুমা দুম দুম।
এমনি করে হিমেল হাওয়ায়....
শীতের সেনা এলো,
ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার ফোঁটা নিয়ে
শরৎ বিদায় নিল।
রচনাকাল : ৭/১০/২০২০
© কিশলয় এবং শীলভদ্র গৌড়ী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।