শুরু হয়ে গেছে অস্তের পালা বৃদ্ধের হাত ধরে;
আগে তো কখনো দেখি নাই হেন যতটুকু মনে পড়ে ৷
ছোটোবেলা থেকে কতকাল বেয়ে বড়ো হয়েছি এতো
তবে এইসব ঘটনাসমূহ নই আমি পুরো জ্ঞাত ৷
মনে পড়ে কতো দাদু - ঠাকুমারা ডাকিত নিকটে এসে -
কোথায় সবে চলে গেল তারা না জানি কোন্ দেশে ৷
তাদের পথের নিশাণ ধরে আরো কত লোকে গেলো
কিছু যেন তাই ভালো লাগে না, সব যেন এলোমেলো ৷
এখন যেথায় তাকাই দেখি, শুধু ধূ ধূ করা মাঠ -
ঘরদোর ফাঁকা, শান্ত-শীতল-নির্জন পথঘাট ৷
পথের ধারেতে, বকুলতলায় নেই কোনো জমায়েত,
কৃষকের কোনো মেলে না গো দেখা, শুধু পড়ে তার ক্ষেত ৷
গাড়িটাকে গরু টানিয়া চলিছে, নেই তাতে গাড়োয়ান
জোয়ারের টানে ভাসিছে নৌকা, দেবে কে তাহাতে টান ?
গাছে গাছে ফল মিছাই পাকিছে খাইবার লোক নাই
মাছগুলি যত আসিয়াছে ঘাটে, নাই শুধু জেলেভাই ৷
লোক নাই এই বস্তুজগতে কিবা রাত কিবা দিন;
আমারেই যেন রাখিয়া একা, হয়েছে সবে বিলীন ৷
কিই বা করিব এই একাভাবে তাই ভাবি পলে পলে
তার চেয়ে ভালো আমিও যাব সে অস্তের দেশে চলে ৷
রচনাকাল : ১৯/৯/২০২০
© কিশলয় এবং পথিক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।