কবিতা - প্রতিটি ক্ষণ মায়ের জন্য
কলমে- নূপুর গাঙ্গুলী
আমার চোখে মা তুমিই দেবী,কিন্তু সমাজের চোখে তুমি নিছকই এক নারী।
তাই নারী - শিকলে বদ্ধ হয়ে তোমার স্বপ্ন গুলো ধূলো পড়ে ছাতা ধরে গেছে।
মুক্তির আশায় তুমিও ছটফট করেছ, কিন্তু সকলে উপভোগ করছে তোমার ঐ যন্ত্রণা।
তোমার হৃদয়ের বিন্দু বিন্দু যন্ত্রণার উত্তর দিতে হবে এই সমাজ কে।
আজ মা অর্থাৎ সেই নারীই যদি পৃথিবীর আলো না দেখাতো, কোথায় থাকত এতো অহংকার?
নিজের জীবন বাজি রেখে যখন একজন নারী মা হয়, তখন ঐ পোড়া সমাজ বলে এই মাতৃত্ব তার শতজন্মের পূণ্য ফল।
কিন্তু মাতৃত্ব লাভের যে যন্ত্রণা - তা এক মা ছাড়া আর কারো উপলব্ধি করার ক্ষমতা নেই।
মাছের মাথা, পেটি - সন্তান সহ পরিবারের আর সকল কে খায়য়ে,সে যখন তৃপ্তির হাসি হাসে---
সন্তানের মঙ্গলার্থে সে যখন ব্রতো পালন করে-
তখন কেউ কি খোঁজ নিয়ে দেখে , কিসে তার উপকার হবে? কি করলে তার মুখ হাসিতে ভরে উঠবে?
না - কেউ ভাবেনা;;
মাকে সম্মান জানাতে হলে সবার আগে শ্রদ্ধা জানাতে হবে তার ইচ্ছা কে।
ফুরসৎ দিতে হবে তার নিজের জীবন নিজের মতো করে কাটানোর।
বন্ধ করে দিতে হবে বৃদ্ধাশ্রমের সব দরজা গুলি।
সর্বক্ষণেই তার জীবনে থাকবে সুখ- শান্তির ছোঁয়া।
তা নাহলে সারা বছর তাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়ে কি লাভ একটা নির্দিষ্ট দিন তার জন্য রেখে?
এই সাম্মানিক উত্তরীয় পরানোর অর্থ কি ?
রচনাকাল : ৩/৯/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।