খাঁচার পাখি বলে, টুনটুনি ভাই
নেচে নেচে যাও কোথা,তোমারে শুধাই?
উড়ে বেড়াও তুমি গাছ হতে গাছে,
একটু সময় পেলে এসো মোর কাছে।
পায়ে মোর আছে বেড়ি,পাখনাটা ভারী,
মুক্ত আকাশ মাঝে উড়তে না পারি।
শৈশব হতে আমি বন্দি খাঁচায়,
উড়ে গিয়ে ডালে বসি,শুধু মন চায়।
তুমি বসে শাখে শাখে কর কলতান,
আমার যে শেখানো বুলি রাধে কৃষ্ণ গান,
কইতে পারি না আমি মোর নিজ ভাষা,
এই মোর পৃথিবী,এই মোর বাসা।
গাছের কোটরে ছিলেম বনের ঠিকানায়,
খাঁচা মধ্যে বন্দি কি আমারে মানায়?
টুনটুনি বলে ওঠে:ওহে খাঁচার ভাই,
যতনে পালিত হও সন্দেহ যে নাই,
খাঁচাতে থাক বটে বাড়ীর অন্দরে।
আমি থাকি মহাকষ্টে রোদ, জলে, ঝড়ে,
সারাদিন উড়ে বেড়াই আহার অন্বেষনে,
খড়কুটো আহরনে ফিরি বনে বনে।
খাঁচার পাখি বলে :তাই তবু ভালো,
মুক্ত হতে চাই আমি, চাই মুক্ত আলো।
পালাতে পারতেম যদি,ভাবি মনে মনে
উড়ে আমি চলে যেতেম দূর কোনো বনে
যেথা নেই কোন খাঁচা, নেই কোন বাঁধন,
ফুলে ফুলে আছে অলি,ফলে ভরা কানন।
টুনটুনি দুখে বলে-কি করবে ভাই,
এটাইতো বিধিলিপি, উপায় তো নাই।
তার চেয়ে বলি শুধু-এই আছ বেশ,
খাঁচাতেই বাঁচাবাড়া ,খাঁচাতেই শেষ।
রচনাকাল : ৩/৯/২০২০
© কিশলয় এবং যুথিকা দেবনাথ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।