অভিশপ্ত জঙ্গল
আনুমানিক পঠন সময় : ৭ মিনিট

লেখক : শুভেন্দু ভৌমিক
দেশ : India , শহর : Kolkata

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০২০ , জুন
প্রকাশিত ১০ টি লেখনী ২৩ টি দেশ ব্যাপী ৪৩৪০ জন পড়েছেন।
আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো কেন? কি চাও তুমি?

- হা হা হা..প্রতিশোধ!

- কিসের প্রতিশোধ? আমি কি করেছি?

- কি করেছিস? তোরা সবকটাই সমান..তোদেরকে..

- কি করছো..ছেড়ে দাও আমাকে..ছেড়ে দাও..বাঁচাওওও...

*****************

আমি রনিত মৈত্র। ট্রেকিং করা খুবই পছন্দ আমার। আমাদের বন্ধুদের একটা গ্ৰুপ আছে। আমি, সুমন আর রাজীব। সময় সুযোগ পেলেই তিনজনে একসাথে বেরিয়ে যাই। এবারে আমরা ফালুট যাব ঠিক করলাম। প্রস্তাবটা সুমনই দিয়েছিল। সবাই এককথায় রাজী হয়ে গেলাম।

ফালুট হলো সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকের শেষ গন্তব্য। উচ্চতায় ভারতের মধ্যে এটি দ্বিতীয় স্থানে আছে। সান্দাকফু থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত এই স্বর্গদুয়ার থেকে হিমালয়ের অপরূপ শোভা উপভোগ করা যায়। ফালুট যাওয়ার পথেই পড়বে সবুজে ঢাকা সামানদেন উপত্যকা। এছাড়াও রডোডেনড্রন ছাওয়া পথ, সিঙ্গালীলা পাস। এসব তো আছেই। সব মিলিয়ে এই ট্রেকটা নিয়ে ভীষণ এক্সাইটেড আমরা।

ঠিক হলো মানেভঞ্জনে রাতটা কাটিয়ে ওখান থেকে গাইড নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করবো‌।

প্রয়োজনীয় সমস্তরকম সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে রওনা দিলাম আমাদের গন্তব্যে।

*****************

মানেভঞ্জনে খোঁজ-খবর নিয়ে ভালো একজন গাইড জোগাড় করলাম। ওর নাম মংপু। ২৪-২৫ বছর বয়স। বাড়িতে বাবা-মা আর এক বোন আছে। বোনটা কোন কারণে অসুস্থ। বিছানায় শয্যাশায়ী। বাবারও বয়স হয়েছে। কাজ-কর্ম করার তেমন সামর্থ্য নেই। মংপুই ঘরের একমাত্র রোজগেরে।

মংপু ছেলেটা বেশ চটপটে। আমাদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করে ফেলল খুব অল্প সময়ের মধ্যেই।

*****************

টুমলিং থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথে ওয়েদার খুব খারাপ হওয়ায় কালিপোখরি গ্ৰামে দু'দিন থাকবো ঠিক করলাম। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। মংপু বললো- আপনাদের কোন চিন্তা করতে হবে না। আমি থাকতে কোন অসুবিধা হবে না আপনাদের।

সেই গ্ৰামে মংপুর চেনা একজন ভদ্রলোক আছেন। তাঁর সাহায্যে আমাদের থাকার জন্য একটা জায়গার ব্যবস্থা হলো। আর মংপু সেই লোকটার বাড়িতে থাকবে।

*****************

রাতেরবেলা তিনজনেই একসাথে শুয়ে আছি। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ রাজীব উঠে পড়ে বললো- বাইরে কোন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিস?

পাশ থেকে সুমন বললো- হ্যাঁ পাচ্ছি তো..ঝড়-বৃষ্টির শব্দ!

- আরে বাবা..আমি সেই আওয়াজের কথা বলছি না। ভালো করে শোন..মনে হচ্ছে অনেক দূরে কারা যেন চীৎকার করে কিছু বলছে।

আমি বললাম- কই তেমন কিছু তো শুনতে পাচ্ছি না।

রাজীবের মনে হলো হয়তো সে ভুল শুনেছে। তারপর আবার তিনজনে শুয়ে পরলাম।

গভীর রাতে আমার হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। দেখলাম পাশে শুধু সুমন শুয়ে আছে। রাজীব নেই।

আমি তৎক্ষণাৎ সুমনকে ডাকলাম- অ্যাই সুমন..রাজীব কোথায় রে?

সুমন ধড়ফড় করে উঠে পড়ে বললো- আমি জানি না তো!

*****************

বাইরে তখনও অনবরত বৃষ্টি পড়ছে। অজানা-অচেনা জায়গা বলে হুট করে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে খুঁজবো যে সেই সাহস পাচ্ছি না। অগত্যা আমি এখান থেকে কিছুটা দূরে সেই ভদ্রলোকের বাড়িতে গিয়ে মংপুকে রাজীবের কথা বললাম। এমনকি সে যে কাদের চীৎকারের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিল সেটাও বললাম।

সব শুনে মংপুকে বেশ চিন্তিত দেখালো। সে বললো- আমারই ভুল হয়েছে। আপনাদেরকে সাবধান করে দেওয়া উচিত ছিল। আসলে এই গ্ৰাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা ঘন জঙ্গল আছে। সেই জায়গাটা নাকি অভিশপ্ত। রাতের অন্ধকারে ওখান থেকেই আজব-আজব শব্দ বা চীৎকার শুনতে পায় লোকজন। ওখানে কেউ একবার গেলে আর ফিরে আসে না। তাই সেখানে কেউ যায় না। একেই রাত, তার উপর ঝড়-বৃষ্টি। এর মধ্যে তো কিছু করা যাবে না। কাল সকালে দেখা যাবে।

- দেখো না এখনই যদি কোন ব্যবস্থা করা যায়। এই অজানা-অচেনা জায়গায় ছেলেটা গেল কোথায়? এখানকার কিছুই তো চেনে না। যদি কোন বিপদে পড়ে থাকে।

আমার কথা শুনে মংপু একটু বিরক্তই হলো। তাও মুখে বললো- আচ্ছা চলুন।

*****************

মংপু একটা ছেলেকে জোগাড় করলো। ওরা দুজন, সুমন আর আমি চারজনে মিলে অন্ধকারের মধ্যে টর্চ নিয়ে রাজীবকে খুঁজতে বেরোলাম। বৃষ্টিটা এখন একটু ধরেছে। মংপু বলে দিয়েছিল যে চারজনকে সবসময় একসাথে থাকতে।

সবাই মিলে রাজীবের নাম ধরে চীৎকার করে করে ডাকতে লাগলাম। কিন্তু কোথাও কোন সাড়া নেই। রাস্তায় যেতে যেতে সুমনকে মংপুর বলা কথাগুলো বললাম। সুমন শুনে বেশ ভয় পেয়ে গেল। এমনিতেই সুমন একটু ভীতু প্রকৃতির ছেলে। ভুত-প্রেত বিশ্বাস করে। ওর পক্ষে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

চলতে চলতে সেই অভিশপ্ত জঙ্গলের কাছাকাছি চলে আসলাম। মংপুর সাথে আসা ছেলেটা আর এক পা'ও এগোতে রাজী হলো না। মংপুও ফিরে যাওয়ার কথা বললো। কিন্তু আমরা তো রাজীবের জন্য চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠলাম। ওকে খুঁজে না পেলে কি জবাব দেব ওর বাড়ির লোককে।

*****************

আচমকা সুমন বলে উঠলো- ঐ তো..রাজীবের আওয়াজ আসছে মনে হচ্ছে ঐ জঙ্গলের ভিতর থেকে।

মংপু বিরক্ত হয়ে বললো- রাত-বিরেতে এরকম আওয়াজ আসে ঐ জঙ্গল থেকে। আগেই তো বললাম।

- নাহ্..আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি..এটা রাজীবেরই গলা।

সুমনের কথা শুনে আমিও ভালো করে কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করলাম। ঠিকই তো বলেছে সুমন..রাজীবের ক্ষীন গলার আওয়াজ আসছে জঙ্গলের ভিতর থেকে। আমিও মংপুকে সে কথা বললাম।

মংপু এবার একটু রেগে গিয়ে বললো- আপনাদের তো বারবার বলছি যে ওটা অভিশপ্ত জঙ্গল। ওখানে এই রাতের অন্ধকারে যাওয়াটা একেবারেই ঠিক হবে না। আপনাদের বন্ধুর কথা ভেবে তা'ও এতদূর আসলাম। কিন্তু ঐ জঙ্গলের ভিতর আর যেতে পারবো না। আপনাদের যদি ইচ্ছে হয় যান।

অগত্যা ওখান থেকে সবাই ফিরে আসলাম।

বাকী রাতটুকু রাজীবের চিন্তায় চিন্তায় কোনরকমে কাটালাম।

*****************

পরদিন সকালবেলায় মংপু আরো কিছু লোকজনকে সাথে নিয়ে আমাদের সাথে রাজীবকে খুঁজতে বের হলো। সবাই মিলে সেই অভিশপ্ত জঙ্গলে গিয়ে হাজির হলাম।

সেই জঙ্গলটিতে গাছপালার ঘনত্ব এত বেশি যে পথ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেকটা ভুলভুলাইয়ার মত। মংপু দিব্যি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলছে। বাকী লোকজন আর আমরা দুজন মংপুর পিছন পিছন যাচ্ছি। আর সবাই মিলে রাজীবের নাম ধরে ধরে ডাকতে লাগলাম। মাঝে মাঝে জঙ্গলের গভীর থেকে ক্ষীন চীৎকারের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সুমন তো ভয়ের চোটে আমার হাত চেপে ধরলো। সুমনের হাত ছাড়িয়ে আমি একটু এগিয়ে গিয়ে মংপুকে জিজ্ঞেস করলাম যে রাজীব কোথায় গিয়ে থাকতে পারে। মংপু বললো- আপনার বন্ধু যদি এই জঙ্গলের ভিতর এসে থাকে, তাহলে তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ভয় চিন্তায় একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ করে সামনে তাকিয়ে মংপুকে দেখতে পেলাম না। বাকী লোকেদের জিজ্ঞেস করাতে বললো যে তারাও খেয়াল করেনি মংপুকে। কিছুক্ষন বাদে গভীর জঙ্গলের ভিতর থেকে আচমকা মংপু বেরিয়ে আসলো।

- এই ওদিকটাও একবার দেখে আসলাম যদি রাজীববাবুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু নাহ্! আরে সুমনবাবু কোথায়?

মংপুর কথায় হুঁশ ফিরতে এদিক-ওদিক তাকিয়ে সুমনকে দেখতে পেলাম না। বাকী লোকেদের জিজ্ঞেস করাতে একজন বললো- মংপুর পিছন পিছন ঐদিকেই তো যেতে দেখলাম ওনাকে।

মংপু- কই আমি তো দেখিনি।

সুমন-সুমন বলে বেশ কয়েকবার চীৎকার করে ডাকলাম। কিন্তু কোন সাড়া-শব্দ পেলাম না। এসব দেখে বাকী লোকজনেরা সব ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আর এগোতে রাজী হলো না।

আমার তো তখন পাগলের মত অবস্থা। ট্রেকিং করতে এসে প্রথমে রাজীভ, তারপর সুমন দুজনেই কোথায় চলে গেল। ওদের বাড়ির লোকেদের কাছে কি কৈফিয়ত দেবো!

কোন উপায় না পেয়ে সেই অভিশপ্ত জঙ্গল থেকে সবাই ফিরে আসলাম। মংপু তাও একটু ভরসা দিয়ে বললো- চিন্তা করবেন না। খাওয়া-দাওয়া করে রেস্ট নিন। তারপর দুপুরের দিকে আপনি আর আমি আরেকবার খুঁজতে আসবো।

*****************

দুপুরে মংপুর সাথে আবার বেরোলাম সেই অভিশপ্ত জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। মংপু সাথে একটা বড় শাবলের মত অস্ত্র নিয়েছে দেখলাম।

মংপু অস্ত্রটা আমাকে দেখিয়ে বললো- এটা আমাদের সেফটির জন্য নিলাম। বলা তো যায় না ঐ অভিশপ্ত জঙ্গলে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করে আছে।

জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলতে চলতে আচমকা মাথার পিছনে ভারী কিছুর আঘাত অনুভব করলাম।

*****************

জ্ঞান ফিরতে দেখি একটা জায়গায় গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় রয়েছি। চারিদিকে কেমন অদ্ভুত অদ্ভুত সব গাছপালা। এরকম গাছ বা তার ছবি কখনো কোন বইতে বা অন্য কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়লো না। সামনে মংপু শাবল‌ হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

- আমাকে এখানে বেঁধে রেখেছো কেন? কি চাও তুমি?

- হা হা হা..প্রতিশোধ!

- কিসের প্রতিশোধ? আমি কি করেছি?

- কি করেছিস? তোরা সবকটাই সমান..তোদেরকে..

মংপু শাবল নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।

- কি করছো মংপু..ছেড়ে দাও আমাকে..রাজীব-সুমন ওরা কোথায়?

- চিন্তা করিস না। তুইও শিগগিরি ওদের কাছেই পৌঁছে যাবি।

আচমকা আশে-পাশের গাছগুলো থেকে মানুষের চীৎকারের আওয়াজ শুনতে পেলাম।

- ঐযে তোর বন্ধুরা ডাকছে..শোন।

আমি ভয়ে আঁতকে উঠলাম।

- এসব কি বলছো মংপু?

- হ্যাঁ ঠিকই বলছি। তোর পাশের ঐ গাছ দুটোই রাজীব আর সুমন। আর তোরও এই অবস্থাই হবে।

- কেন তুমি এসব করছো মংপু? কি অপরাধ আমাদের?

- কি অপরাধ? জানতে চাইছিস আবার! তোদের মত মানুষের জন্যই আজ আমার হাসি-খুশি বোনটা বিছানায় শয্যশায়ী। আর কোনদিনও উঠবে কিনা জানি না। একবার এই তোদের মত চার বন্ধু মিলে ট্রেকিং করতে এসেছিল। আমার বোনই ওদের খাওয়া-দাওয়ার তদারকি করতো। এত যত্ন-আত্তি করা সত্ত্বেও সেদিন রাতে ঐ চারজন শয়তান মিলে আমার বোনটাকে ছিঁড়ে-খুড়ে শেষ করে ফেলেছিল। আজ শুধু প্রানটুকুই যা অবশিষ্ট আছে ওর জীবনে। ওরা তো আমার হাত থেকে বেঁচে পালিয়ে গেছে। কিন্তু সেদিন থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছি যে তোদের মত এইসব নরকের কীটদের আমি উচিত শিক্ষা দেব। তারপর এই অভিশপ্ত জঙ্গলের খোঁজ পাই। এর ব্যাপারে কেউ সঠিকভাবে জানেনা, একমাত্র আমি ছাড়া। ঐ ট্রেকিং পার্টিগুলোকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ঠিক এখানে নিয়ে আসি। এই জঙ্গলের এই জমিতে এই যে গাছগুলো দেখছিস, এগুলো প্রত্যেকটাই এক একজন মানুষ ছিল। সব নরকের কীটগুলোকে এখানে পুঁতে দিয়েছি। আর সেই জায়গা থেকে এক-একটা করে গাছ বেরিয়েছে। প্রকৃতির কী অদ্ভুত লীলা দেখ- যে মানুষেরা গাছেদের জীবন ধ্বংস করে নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কাজে ব্যবহার করতো, প্রকৃতি সেই এক-একটা মানুষের জীবনের বদলে এক-একটা গাছের জন্ম দিচ্ছে। হা হা হা..এবার তোর পালা!

মংপু শাবল নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগলো আমার দিকে।

- কি করছো মংপু..ছেড়ে দাও আমাকে..ছেড়ে দাও..বাঁচাওওও...

*****************

                                 (সমাপ্ত)
রচনাকাল : ২/৯/২০২০
© কিশলয় এবং শুভেন্দু ভৌমিক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bulgaria : 1  Canada : 8  China : 10  France : 4  Germany : 1  India : 165  Ireland : 6  Japan : 1  Poland : 2  Russian Federat : 8  
Sweden : 12  Ukraine : 7  United Kingdom : 1  United States : 137  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bulgaria : 1  Canada : 8  China : 10  France : 4  
Germany : 1  India : 165  Ireland : 6  Japan : 1  
Poland : 2  Russian Federat : 8  Sweden : 12  Ukraine : 7  
United Kingdom : 1  United States : 137  
লেখক পরিচিতি -
                          শুভেন্দু ভৌমিক ৬ ই মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

ছোটবেলা থেকেই তাঁর সাহিত্যের প্রতি দারুণ ঝোঁক। তিনি চাকরী করার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করতে ভালোবাসেন। ফেসবুকের বিভিন্ন সাহিত্যগ্ৰুপে অণুগল্প, ছোটগল্প লেখালিখি করেন।

অবসর সময়ে বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে, সানডে সাসপেন্স শুনতে এবং টিভিতে ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচ দেখতে ভালোবাসেন। 
                          
© কিশলয় এবং শুভেন্দু ভৌমিক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
অভিশপ্ত জঙ্গল by Subhendu Bhowmick is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৩৭৭৪৮৭
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী