- কি বাবলু দা ঘটনাটা সত্যি নাকি? পাড়ার সবাই বলছে তুমিই নাকি গেছিলে ওদের বাড়িতে।
- নানা, সেরকম কিছু নয়। ওরা জানেনা তাই বলছে।
- সত্যিটা তুমিই বলো বাবলু দা শুনি তাহলে।
কথাটা বলবে, এমন সময় পাড়ার এক দল লোক এসে ঝাঁপিয়ে পরলো লাঠিসোঁটা নিয়ে বাবলুদার উপর।
সত্যিটা যাচাই করতে একটুও সময় লাগেনি পরেশের। সে দেখলো মিনার বলাৎকার করা দেহ তাদের বাড়ির সামনে পড়ে আছে। বছর একুশের মেয়ে মিনা ,বাবা - মা নেই , একাই থাকে আর ছোটো একটা নার্সিংহোম - এ রাতের ডিউটি করে। সেদিন আর...।
বেশ কিছুদিন হলো হাজত থেকে ফিরেছে বাবলুদা। পাড়ার লোক তাকে তীব্র ঘৃণার চোখে দেখে । কারণ আর যাইহোক, তার এই অকর্মের পিছনে তার মানসিকতা টা তো স্বাভাবিকই ছিল।
হঠাৎ একদিন পরেশ চায়ের দোকানে বসে ভাঁড় হাতে চা খাচ্ছে ঠিক তখনই বাবলু দা এসে বললো - "ভাই, আত্মসমান মানে কি?"
তৎক্ষণাৎ পরেশের মনে পড়ে গেলো তার স্কুলের দিলীপবাবুর কথা। সাহিত্যের বিষয়টাকে দিলীপবাবু সমস্ত ছাত্রদের গুলে খাওয়াতেন।পরেশও বেশ ভালই হজম করেছিলো এই বিষয়টা।
উত্তরে পরেশ বললো - " আত্মসম্মান হলো এমন এক সম্পদ যা চোখে দেখা যায়না কিন্তু মানুষের চরিত্র আর আচরণ বুঝিয়ে দেয়, যে তার কাছে সেই সম্পদ আছে কি না।
তারপর একটু হেসেই বললো পরেশ- "বাবলুদা বর্তমানে সে সম্পদ আর নেই তোমার কাছে"।
রচনাকাল : ৩০/৮/২০২০
© কিশলয় এবং ভাস্কর নস্কর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।