শরতের আগমনী ........ সোনাঝরা রোদ নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা এসেছে শরৎ (দ্বিতীয় পর্ব)
আনুমানিক পঠন সময় : ২ মিনিট

কবি : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৭২ টি দেশ ব্যাপী ২৬৭৮৫৫ জন পড়েছেন।
শরতের আগমনী ........ সোনাঝরা রোদ
নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা
এসেছে শরৎ  (দ্বিতীয় পর্ব)

শরৎকালে ঝকঝকে নীল আকাশ। মৃদু বাতাস দোলা দিচ্ছে তাদের নরম পাপড়িতে। নদীর দুই ধারে সাদা সাদা কাশফুল। শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের বিছানায় রাশি রাশি শিউলি ফুল। যেন খসে পড়েছে রাতের ঝলমলে তারা। মাটিতে মিশে গেছে তার গন্ধ। ছোট ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে নামে শিউলি ফুল কুড়োতে। আর পাল্লা দিয়ে চলে মালা গাঁথার প্রতিযোগিতা, কিন্তু এখনকার সময়ে সবই স্মৃতি।

শরতের আগমন সম্পর্কে কবি বলেছেন,
‘আজি শরৎ তপনে প্রভাত স্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়
ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কী যে গায় গো
আজি মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে, রহে না আবাসে মন হায়
কোন কুসুমের আশে কোন ফুলবাসে সুনীল আকাশে মন ধায় গো।’

শরতের আকাশ, শরতের নদী, শরতের ফুল এই সবকিছুই কেমন যেন শান্ত-মায়াময়। শরতের এই শুভ্র রূপ পবিত্রতার প্রতীক। বিলের শাপলা, নদীতীরের কাশফুল, আঙিনার শিউলি—সবই কোমল এবং পবিত্র। যখন শিশিরের শব্দের মতো টুপটাপ শিউলি ঝরে তখন আসে অনুভবের শরৎ। কাশবনে দল বেঁধে আসে চড়ুই পাখিরা। শান্ত নদীতে দু’কূল ছাপানো ঢেউয়ের বদলে দৃশ্যমান হয় কাশবনের ছোট ছোট রুপালি ঢেউ।

শরতের স্নিগ্ধতাকে আরও মোহময় করে এ মৌসুমের বিচিত্র ফুলেরা। নদী কিংবা জলার ধারে ফোটে কাশ-কুশ, ঘরের আঙিনায় ফোটে শিউলি বা শেফালি, খাল-বিল-পুকুর-ডোবায় থাকে অসংখ্য জলজ ফুল।

শরৎ মানেই শিউলির মধুগন্ধ ভেসে বেড়ানোর দিন। শিউলির আরেক নাম শেফালি। শিউলি বা শেফালি যাই বলি না কেন চমৎকার এ ফুল নিয়ে দুটি গ্রিক ও ভারতীয় উপকথা আছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাসে শিউলির বিশাল বন ও তার তীব্র ঘ্রাণের কথা বলা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ এরা সকলেই বারবার শিউলির প্রশংসা করেছেন। ফুলকলিরা মুখ তোলে সন্ধ্যায়। সূর্যের সঙ্গে এদের আড়ি, নিশিভোরেই ঝরে পড়ে মাটিতে। বোঁটার হলুদ রং টিকে থাকে বহুদিন। কাশ শরতের অনন্য ফুল।

নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা
এসেছে শরৎ  (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শরৎ এলো রে ঝরে ধরা পরে
শিউলির ফুলগুলি,
তরুর শাখায় পাখি গীত গায়
সুমধুর সুর তুলি।

পূর্বের গগনে সূর্যের কিরণে
শিশিরের বিন্দু হাসে,
নিশির শিশির পড়ে ঝিরঝির
আঙিনার কচি ঘাসে।

মরাল মরালী করে জলকেলি
দিঘিভরা কালো জলে,
গাঁয়ের বধূরা রাঙা শাড়ী পরা
জল নিয়ে ঘরে চলে।

অজয়ের পারে নদীর কিনারে
কাশফুল ধারে ধারে,
শালিকের দল করে কোলাহল
বক বসে সারে সারে,

খেয়াঘাটে মাঝি হাল ধরে আজি
গান গেয়ে বৈঠা বায়,
শারদ আকাশে সাদা মেঘ ভাসে  
নীল আকাশের গায়।







রচনাকাল : ২৩/৮/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  China : 11  France : 2  Germany : 3  India : 104  Ireland : 24  Romania : 1  Russian Federat : 2  Sweden : 10  Ukraine : 4  
United Kingdom : 1  United States : 106  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  China : 11  France : 2  Germany : 3  
India : 104  Ireland : 24  Romania : 1  Russian Federat : 2  
Sweden : 10  Ukraine : 4  United Kingdom : 1  United States : 106  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
শরতের আগমনী ........ সোনাঝরা রোদ নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা এসেছে শরৎ (দ্বিতীয় পর্ব) by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৫৩৯৭১৭
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী