রেললাইনের ধারে শুকিয়ে যাওয়া
রক্তের ছাপের ওপর লুকোচুরি খেলছিলো
পাশের বস্তির বেনামী ছেলেরা।
স্বাধীনতা দিবসের তাড়া নেই ওদের খেলার মাঝে।
ভোর হতেই পাশের বাড়িতে এসে পড়েছে
মেনকা বৌদি এঁটো বাসন ধুতে,
শিল নোড়াতে বাটছে খোসা ছাড়ানো রসুন।
স্বাধীনতা দিবসের তাড়া নেই ওর কাজের মাঝে।
স্টেশন মোড়ে অন্ধ ভিখারীটা
আজও গান গাইছে কারশেডের নীচে বসে,
ফুটো বাটিতে পড়ছে গুটিকয়েক একটাকা দুটাকা।
স্বাধীনতা দিবসের তাড়া নেই তার গানের মাঝে।
হাসপাতালে বেড না পাওয়ায়
অসুস্থ ছেলেকে বুকে করে নিয়ে ঘুরছে মা,
এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতাল।
স্বাধীনতা দিবসের তাড়া নেই চোখভর্তি জলের মাঝে।
কারখানায় কাজ হারানো আহমেদ
আজও একটা কাজ খুঁজছে হন্যে হয়ে,
শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে।
স্বাধীনতা দিবসের তাড়া নেই শ্রান্তিহীন ঘামের মাঝে।
স্বাধীনতা দিবসের স্বপ্ন খুঁজতে খুঁজতে
এরা একে একে শান্ত হয়ে গেছে দীঘির মতো।
এদের এখন শুধু তাড়া বলতে
দুটো গরম ভাতের পরে আশা
একফালি ছাদ আর অফুরন্ত ভালোবাসা।
রচনাকাল : ১৪/৮/২০২০
© কিশলয় এবং ঋত্বিকা গায়েন কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।