আচ্ছা রুমানি! তুই কি নিজেকে স্বাধীন বলেই ভাবিস?
এত শাসনের মাঝেও নিজেকে স্বাধীন অনুভব করিস?
এটা পরিসনা, ওটা করিসনা, সেইখানে যাওয়া মানা!
এটাকে সত্যি স্বাধীনতা বলে?আমার নেই তা জানা।
সত্যি কি দেশ স্বাধীন হয়েছে,এতগুলো দিন পরও?
সত্যিই কি আর আমাদের পরে অধিকার নেই কারোও?
দেশটাকি আজও স্বাধীন হয়েছে, দুর্নীতিরাজ থেকে?
নারীরা কি আজও নয় পরাধীন,সমাজের বাকা চোখে?
রুমনির ঠোটে হাসি লাগা দেখে,চুপ করে যায় মিতা
আলতো আওয়াজে রুমা তাঁকে বলে,"কিসের পরাধীনতা?"
এইযে আজকে বলছিস কথা,এটা স্বাধীনতা নয়?
স্বাধীনতা শুধু পোশাকে কিংবা চলাফেরাতেই হয়?
আমার বাবাও শাসন করেন,আগলে রাখতে চায়,,,
আমার কাছে ভালবাসা সেটা,পায়ে বেড়ি বাধা নয়।
বেশি রাত করে বাড়িতে ফিরলে আমারও বাড়িতে বকে,
সবারই বাড়িতে কিছু না কিছু নিয়ম কানুন থাকে!
মুখের কথাটা শেষ না হতেই প্রতিবাদ করে সীমা,
এইসব কথা দিদিমারা বলে,তুই কোন যুগে পড়ে রুমা?
আমি কি পড়ব,কোথায় বেরোব,কটায় ফিরব ঘরে?
কিকরে সেটা আমার বাবা বা মা নির্ধারণ করে?
আমার জীবন আমি কি করব,আমার ব্যাপার সেটা,
এগুলো নিয়েও দেওয়া হয় বাঁধা,অধিনতা নয় এটা?
আবারও বলছি,পোশাকের ভারে স্বাধীনতা মাপা যায়না,
বড়োরা তাদের উপদেশ দিয়ে অধীনে রাখতে চায়না।
ভালবাসে বলে আমাদের চায়,রাখতে যত্ন করে,
দয়া করে এটা চাপিয়ে দিসনা পরাধীনতার ঘাড়ে।
পোশাকের মাপ,ঘড়ির শব্দ,কিংবা মদ্যপান,
কোনটা করেনা স্বাধীনতা টাকে যথার্থ সন্মান।
স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতা, ভিন্ন শব্দ গুলো,
দুখানার মাঝে সূক্ষ্ম রেখাটা করিস না এলোমেলো।
স্বাধীনতা পাক প্রতিটি মানুষ,এইটা সবাই চায়,
সেটা শালীনতাটাকে বজায় রেখেই, স্বেচ্ছাচারিতা নয়।
রচনাকাল : ১৪/৮/২০২০
© কিশলয় এবং দেবলীনা চ্যাটার্জি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।