দেশবাসীর বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা লাভের মূলে রয়েছে অসংখ্য মানুষের স্বার্থত্যাগ,রক্তপাত বা আত্মবলিদান।
সাহিত্যিক রা ব্রিটিশ অত্যাচারের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন লেখনীতে।দেশপ্রেমিক মহান বিপ্লবীরা নিজের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়ে লড়েছেন দেশের তরে।দেশের স্বাধীনতা লাভের জন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিকের অবদান যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।ক্ষুদিরাম,গান্ধীজি, নেতাজী দের মতো বহু দেশপ্রেমিকের স্বার্থ ত্যাগ বৃথা হয় নি...মিলেছে স্বাধীনতা। মহান দেশপ্রেমিক ও নেতা
সুভাষ চন্দ্র বসু ১৮৯৭সালের ২৩শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন কটক শহরে। ছোট থেকেই ছিলেন ভীষণ মেধাবী।স্কুল কলেজর নানান পরীক্ষায় সম্মানের সঙ্গে উত্তীর্ণ এই কৃতি ছাত্র টি মাত্র ২৭বছর বয়সে কলকাতা কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে নির্বাচিত হন।জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি র পদ পেলেও নানান মতবিরোধের জন্য দল ত্যাগ করে নিজের নেতৃত্বে গঠন করেন ফরওয়ার্ড ব্লক।এসময় তার ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে বেশ কয়েকবার কারাবন্দী করে, কিন্তু দেশবাসীর প্রতিবাদে বেশিদিন বন্দী রাখতে পারেনি ।এরপর একসময় তিনি স্বগৃহে নজরবন্দি থাকলেও নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে সকল বাধা পেরিয়ে পৌঁছে যান সুদূর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়,গঠন করেন আজাদ হিন্দ ফৌজ।ফৌজের সৈনিকরা ওনাকে গুরুর সম্মান দিয়ে নেতাজী উপাধিতে ভূষিত করে।যদিও একসময় প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কাছে ফৌজকে নতিস্বীকার করতে হয়েছিলো,তবু ততদিনে ভারতে দেশবাসীর মনে জাগিয়ে তুলতে পেরেছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেম।তার অনমনীয় সাহসিকতা এবং তীব্র স্বদেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ করেছিল ভারতবাসীকে,তারই ফলসরূপ আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন।
এই মহান বিপ্লবীরা আজ সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিমুহূর্তে বিরাজমান দেশবাসীর মনের গভীরে,তারা যে সাহসের ই আর এক নাম। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় তারাও যেনো বলে ওঠেন "বন্দেমাতরম"।অনুভূতিতে আছেন তাঁরা।এ যে তাদের প্রাণের প্রিয় জন্মভূমি ।হে বীর,জন্মভূমি তোমাদের ভোলেনি,দেশবাসী তোমাদের মনে রাখবে যুগ যুগ ধরে। তোমরা ছাড়া এ স্বাধীনতার সুখ দেশ পেতো না কখনোই। প্রণাম জানাই তোমাদের সকলের চরণে।।
রচনাকাল : ১৪/৮/২০২০
© কিশলয় এবং পূর্বালী চক্রবর্তী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।