১৯৪৭ সাল। বহু শহীদের আত্মত্যাগে ভারতমাতা শৃঙ্খলামুক্ত হয়েছিল।
ভারতবাসি প্রথম স্বাদ পেয়েছিল স্বাধীনতার।
কিন্তু আসল স্বাধীনতার স্বাদ কি সত্যিই পেয়েছে সকলে?
বাকস্বাধীনতা---?কারো স্বাধীনতা আছে সত্যিকে সত্যি বলে ব্যাখ্যা করার?
নেই। বেশি সত্যি বললেই খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ফেলারও ভয় থাকে।
দেশ এতো শিক্ষিত, এত উন্নত হওয়ার পরও,
নারী স্বাধীনতার এতো শ্লোগান স্বত্বেও
নারী জাতি কি সত্যিই স্বাধীন?
না ----স্বাধীন নয়। প্রতিটি পদক্ষেপে তার বিপদ।
উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কত নারীকে--শুধু নারী হওয়ার দরুণ নিজেকে বলি দিতে হয়।
শারিরীক নির্যাতনে,অমানবিক অত্যাচারে তার পরিণতি হয় মৃত্যু।
কখোনো বা তার জীবন কাটে অন্ধকারের ঘিঞ্জি নরকে;
অথবা রাজকীয় রেস্তোরায়---কোন বাবুর সেবায়।
কত কত শিশু আজও শুয়ে থাকে রাস্তায়---
হাজারো গোলামি খেটেও সে পায়না পেটপুরে খেতে;
যার কিনা স্কুলে বিদ্যাভাসের বয়স-----তার সামনে অন্যের এঁটো থালা।
যার মাঠে-ঘাটে খেলার সময়------ তার পিঠে ব্যবসায়ীর বস্তা ভরা সামগ্রী।
বয়সের ভারে যারা অসহায়---তাদের ঠাঁই স্যাঁতসেতে মেঝে,নাহয় বাড়ি থেকে বহুদূরে বৃদ্ধাশ্রমে।
এর নাম স্বাধীনতা?
বিপ্লবীরা তাদের সাধের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন এই নাটকীয় পরিস্থিতির জন্য?
তাঁদের চোখে যে স্বপ্ন ছিল ---নব ভারতের স্বপ্ন; স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন;
আদেও তা কতটুকু সত্য হয়েছে?
শুধু ইংরেজ জাতটাই ভারত থেকে গেছে------
স্বাধীনতা এসেছে----কিন্তু তার পায়নি কোন দূর্বলেরা।
শতশত শহীদের রক্তবিন্দু তাই আজও প্রশ্ন করে----কতটা শান্তি আছে এরকম স্বাধীনতায় ?
রচনাকাল : ১৪/৮/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।