কামাক্ষীর ছায়া
মোঃ তোফায়েল হোসেন
যৌবনের এ বেলায় তোমার অকম্পিত অঙ্গুষ্ঠ
অঞ্জন লাগায় মায়াময় নীল চোখের পাতায়;
আর তাতেই তুমি হয়ে ওঠো কামাক্ষীর ছায়া।
আমি নিজেকে যতই অকৃতাপরাধ মনে করি
তবুও বলতে দ্বিধা নেই- কল্পনায় তোমাকে
উর্বশী ভাবি, উন্মুক্ত করি তন্বী দেহের প্রতিটি বাঁক।
ভালোবাসার অগ্ন্যাশয়ে আনাড়ীর হয় অঙ্কুরোদগম,
কামনার কল্লোলে মুগ্ধ হয় মনের আঞ্জুমান।
তাই তোমার তরে চোর হয়ে-
চাই করতে চুরি চোখের ঐ নীল বাড়ি।
যদি দস্যু হয়ে উদ্দীপক খেয়ে আশ্লেষ করি
ঋতুবর্তী প্রহরের নগ্নতায়- তীব্র কামনায়।
যদি রক্ত প্লাবণে ডুবে যাওয়া উর্বর বসতির
আঙ্গিনায় করি নিষ্টুর ডাকাতি।
যদি করি লুট তোমার ওড়নার ছেড়া প্রান্ত
আর চৈত্রের রোদে শুকাতে দেওয়া অন্তবার্স।
তবে কী তুমি আমার হবে আমায় ভালোবাসবে,
প্রেমে পড়বে এই কবিতার এই নষ্ট উপমার।
নাকি হাবুডুবু খাবে- ভুলে ভরা আততায়ীর
নিক্ষিপ্ত চোরা গুলির পোড়া বারুদে
অথবা তার পরিত্যাক্ত খোসায়।
***
রচনাকাল : ১২/৮/২০২০
© কিশলয় এবং মোঃ তোফায়েল হোসেন কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।