আজও তুমি চির ভাস্বর, শোক-তাপ-আনন্দ সবেতেই তোমার পদধ্বনি শুনতে পাই প্রতি ক্ষণে। তাই তো আমার নাম এ তোমার অবদান আজও পাই। আজও তোমার নন্দিতা কে
শেষ পারানির খেয়ায় তুমি
দিনশেষের নেয়ে
অনেক জানার থেকে এলে
নূতন- জানা মেয়ে।
ফেরাবে মুখ যাবে যখন
ঘাটের পারে আনি,
হয়তো হাতে দিয়ে যাবে
রাতের প্রদীপ খানি।
তাইতো "মাটির প্রদীপ খানি "তোমার নামে জ্বালাতে আজও তোমারি নামে "হৃদয় আমার প্রকাশ হলো অনন্ত আকাশে।" আজও শ্রাবণ বৃষ্টিতে গাই...তোমার এই মাধুরী ছাপিয়ে আকাশ ঝরবে।
তাইতো চিরদিন তোমার পরশ খানি দিও।তোমার বাণীতে তে জগৎ আলোময় ...অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো
সেই তো তোমার আলো! সেই আলোতে "তুমি আমার...
"তুমি কবির ধেয়ান - ছবি পূর্বজন্মের স্মৃতি ,
তুমি আমার কুড়িয়ে পাওয়া হারিয়ে যাওয়া গীতি। "
জীবন জুড়ে তোমার বানী অমৃত সম বাজে । "প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে রবিময়" হই আমরা।
প্রকৃতির মধ্যে তুমি প্রত্যেকটা ঋতু কে এত সুন্দর অবলোকন করেছ...বৈশাখ এ গাই...এসো হে বৈশাখ এসো এসো।। তপ্ত ধরনী কে রুদ্র বেশ দেখে বলেছ ..দারুন অগ্নিবানে রে।
বর্ষা র রূপে তোমার গানে..আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে , কখনো গাই বাদল বাউল বাজায় বাজায় রে ,এক তারা তে...মেঘের পরে মেঘ জমা দেখে সুদূর পানে হারিয়ে যাই।মরু বিজয় এর কেতন তুলে আরণ্যসপ্তাহ পালন করি । শরৎ অমল ধবল পাল তুলে হাজির হয় তোমার নামে।আমরা বাঁধি কাশ এর গুচ্ছ ,নবীন সবুজ ধান ক্ষেতে ঢেউ তুলিয়ে গাই --শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি ।তোমার কবিতায়..এসেছে শরৎ হিমের পরশ --- সত্যি হেমন্তের গানে ছোয়া লাগে ...হেমন্তে কোন বসন্তের বানী...প্রকৃতির এই মাধুরী র মধ্যে আসে "সকরুণ বেনু বাজিয়ে" শীত ..শীতের বনে কোন সে কঠিন" "তাই তো উদাসী হওয়ার পথে পথে মুকুল গুলি ঝরে,আমি কুড়িয়ে নিয়েছি ,তোমার চরণে দিয়েছি। লহ লহ করুন করে। এর পর আমরা তোমার বাসন্তিক প্রকৃতি তে শুনি...একই লাবণ্যে পুর্ণপ্রান প্রাণে এসো হে...পলাশ শিমুল কুসুম এ প্রকৃতি তার রঙের উৎসবে মেতে তোমার গানে মেতে ওঠে , গাই ওরে গৃহাবাসি,খোল দ্বার খোল ,লাগলো যে দোল... নীলদিগন্তে বেজে ওঠে ওগো দখিন হাওয়া , ও পথিক হাওয়া... এর সাথে আবার নতুন যুগের ভোরে ঋতুচক্র সমাপ্তি হয়,কাল এর অমোঘ নিয়মে সবই তোমার বাণীতে ঝরে পরে"সীমার মাঝে অসীম তুমি"যে ধ্রুব পদ দিয়েছ বাঁধি বিশ্ব তানে"জুড়াব তাহা জীবন গানে...
আজও শ্রাবণের ধরার মতো পড়ুক ঝরে তোমার বানী..নয়ন ছেড়ে এলে চলে,এলে সকল মাঝে ,
তোমায় আমি হারাই যদি তুমি হারাও না যে।।।
২২শে শ্রাবণ সেই দিন ,যেদিন সবার হৃদয় কে বিদীর্ন করে রবি চলে গিয়েছিলেন ..দাড়াও আমার আঁখির পরে ...আজও গাবো তোমার সুরে। সুরের গুরু দাও গো মোরে দীক্ষা...আজই প্রণমী তোমারে চলিব নাথ সংসার মাঝে,তুমি আমার নয়নে নয়ন রেখো অন্তর মাঝে।। হৃদয় দেবতা রয়েছে প্রাণে মন যেনো তাহা নিয়ত জানে...আজ প্রয়াণ দিবসে তাই তোমারি লেখায় তোমাকে নিবেদন হে নাথ...
তুমি যদি বক্ষ মাঝে থাক নিরবধি,
তোমার আনন্দ মুর্তি নিত্য হেরে যদি এ মুগ্ধ নয়ন মোর,পরান বল্লভ
তোমার কমলকান্ত চরণ পল্লব
চিরস্পর্শ রেখে দেয় জীবন তরীতে ,
কোনো ভয় নাহি করি বাঁচতে মরিতে।।
রচনাকাল : ৭/৮/২০২০
© কিশলয় এবং নন্দিতা সরকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।