(কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।)
-
প্রথম প্রেম।
মুসকান ডালিয়া।
--
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সারা পৃথিবীর বুকে যিনি চিরন্তন।
তিনিই আমার প্রথম প্রেম।
ভালোবাসার সুত্রপাত সেই কোন মেয়েবেলায়।
তারপর ধীরে ধীরে কেটে গেছে চল্লিশটি বসন্ত।
সিঁথির ফাঁকে ফাঁকে আজ রুপোলী রেখা।
তবুও আজও তাকে মনে পড়লে কপোল হয় রক্তাভ।
সেই বেনী বাঁধা কিশোরী বেলার কথা বলি-
যেদিন প্রথম "পোস্টমাষ্টার" পড়েছিলাম,
হারিয়ে গিয়েছেলাম রতনে।
মনে মনে তোমাকেই ভেবে নিয়েছিলাম পোস্টমাষ্টার।
তুমি এতো নিষ্ঠুর কেন কবি?
কি এমন হতো?
এক অবোধ বালিকাকে প্রেমের ছায়ায় আশ্রয় দিলে?
তুমি কি জানতেনা,
বিচ্ছেদ বড় বেদনার?
সেই অবোধ গ্রাম্য বালিকার প্রেম হয়তো আজও কেঁদে বেড়ায়
গ্রামের অলিগলিতে।
তার বিরহী প্রানের সুর আজও মিশে আছে ঝিঁঝির কান্নায়।
তার অবোধ হৃদয়ের আগুন আজও জোনাকি হয়ে জ্বলে শ্যাওলা ধরা পুকুর পাড়ে।
কবি- তোমার কলমে কেন এতো বেদনা ?
উফফফফ কবি,
এ যে বড় যন্ত্রণার গো।
তবুও -তোমার কলমে কি অদ্ভুত ভাললাগা আমার।
চোখের পাতা বন্ধ হলেই
মনে ভেসে আসে হৃদয় হরা সেই দুটি লাইন-
--"কালো তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ "।
মনে হয়েছিল- এই দুটি লাইন শুধু আমার জন্যই লেখা।
তারপর কত্ব অবসন্ন বিকেলে তোমার উপন্যাসে চোখ রেখে
কেটে গিয়েছে কতো মুগ্ধ প্রহর।
ঠাম্মি বলতেন-" দিদিভাই, কবিদের ভালবাসতে নেই। ওরা আত্মভোলা।
অ---নে---ক কষ্ট পাবি।"
আমি বলি-তা হোক, তবুও তাকে বড় ভালবাসি।
সে স্বপ্ন জেনে, সেই স্বপ্নের রাত টাকেই ভালবাসি
প্রথম প্রেম কি কভু ভোলা যায় গো?
এরপর একে একে কেটে গেছে দিন, মাস, বছর।
তুমি স্বপ্নে এসেছ বারংবার।
কষে বাঁধন দিতে চেয়েছি বুকের প্রকোষ্ঠে।
কিন্তু, চোখ খুলতেই তুমি মিলিয়ে গেছো
জানি না কোন অজানায়।
তবুও আমার প্রথম প্রেমিক হয়ে
সেদিনও ছিলে।
আজও রয়েছ গোপনে
আমার বুকের নিভৃত এক কোনে।
রচনাকাল : ৭/৮/২০২০
© কিশলয় এবং মুসকান ডালিয়া কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।