- অ্যাই দিদি আজ তো রাখি। সব ভাই-বোনেরা কি সুন্দর রাখি উৎসব পালন করছে দেখ! আমরা পালন করবো না রে?
- জানিসই তো আমাদের অভাবের সংসার। বাবা সারাদিন খেটে আসলে তবেই দু-মুঠো ভাত জোটে!
- লোকে বলে রাতের পর নাকি সকাল আসে। আমরা সেই সকালের দেখা পাবো না রে কোনোদিন?
- নিশ্চয়ই পাবি। তোর এই দিদি আছে তো।
****************************
- তমাল দা, এটা কোথায় নিয়ে আসলে গো?
- তুই এখানে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবি। তার থেকে কিছুটা তোর বাড়িতে পাঠাবি।
- এখানে কি কাজ গো?
- ঐ তো উনি আসছেন..সব বুঝিয়ে দেবে তোকে।
****************************
সুছন্দার মনে পরে সামনের সপ্তাহে রাখি। ভাইকে একটা চিঠি লিখলো-
তুই আমাকে বাকী সবার মত ভুল বুঝিস না রে ভাই। মনে আছে..সেবার রাখির দিনে তোকে কথা দিয়েছিলাম-তুই একদিন নিশ্চয়ই সকালের দেখা পাবি। তারপর থেকে সেই চেষ্টাতেই ছিলাম। যখন তমাল দা বললো যে ওর সাথে গেলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবো তখন সেই রাস্তাটাই বেছে নিলাম।
তোর জন্য একটা রাখি আর কিছু টাকা পাঠালাম। পছন্দমত কিছু কিনে নিস।
আমি মাসে মাসে কিছু টাকা পাঠাবো। ভালো থাকিস সবাই আর বাবা-মা'কে দেখিস।
ইতি
তোর হতভাগ্য দিদি
****************************
চিঠি লেখার শেষে সুছন্দার চোখ জলে ভিজে আসে। হঠাৎ দরজায় টোকা..
- অ্যাই হতভাগী, তখন থেকে দোর আটকে কি করিস? তোর কাস্টমার অপেক্ষা করে আছে কখন থেকে।
- যাই গো মাসি।
****************************
(সমাপ্ত)
রচনাকাল : ৫/৮/২০২০
© কিশলয় এবং শুভেন্দু ভৌমিক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।