কবিতা - মেলবন্ধন
নুপুর গাঙ্গুলী
ব্যস্ত সবাই; কর্মে ব্যস্ত - নেই তো কারো অবসর -
পড়াশোনা, অর্থোপার্জন কিংবা সামলানো রান্নাঘর।
দেখা -সাক্ষাৎ - সময় কোথায়? যোগাযোগ মাধ্যম শুধুই ফোন -
বাবা - মাও বড্ড ব্যস্ত;- শিশুও পায় না তাদের কোল।
দুঃখ - সুখের ব্যস্ত জীবনে নিয়মের চাপে ক্লান্ত সবাই
পার্বণের সুখের বানেই দুঃখ - ক্লান্তি ভেসে যাই ।
গুণীজনদের জন্ম -জয়ন্তী কিংবা মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় -
স্মৃতির উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে সকলে তাদের সম্মান জানায়।
ছোট - বড় কত পুজো, তার সঙ্গে আলোর মেলা -
এক এক স্থানে এক এক পূজোয় চলে ভিড়ের ঠেলা।
কিন্তু বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ শরতের শারদীয়া -
দুঃখের রশি খুলে খুশির আবেগে ভেসে যাওয়া।
গণেশ পুজোয় বছর শুরু, চড়কে বছর নেয় বিদায়
মাঝখানে লক্ষী-কালি-জগদ্ধাত্রী-বাসন্তীপূজা কত কি হয়।
রাখিবন্ধন,ভাইফোঁটা,স্বাধীনতাদিবস,ঈদ,বড়দিন-
শত্রুও মিত্র হওয়ার মিলন সুত্র এই তেরো পার্বণ।
উৎযাপিত হয় সাংস্কৃতিক উৎসব এই পার্বণ কে ঘিরে
নব প্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় এই সংস্কৃতির হাত ধরে।
পার্বণ গুলি প্রাণবন্ত বলেই - কত মানুষ খেটে খায়
এক জনের আনন্দ অন্যের ক্ষুধার অন্ন যোগায়।
বারোমাস হাতে গোনা গেলেও পার্বণ গোনা দায়
বারোমাসে বহু পার্বণ তথা তেরো পার্বণ - তোমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।
~~~~~~~~
রচনাকাল : ৪/৮/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।