সৌম্য: ভালোবাসো আমাকে??
দীপ্তি: খুউব।
সৌম্য: কতটা বিশ্বাস করো আমায়?দীপ্তি: নিজের থেকেও বেশি।
সৌম্য: আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি..এক সমুদ্র ভালোবাসি ।
দীপ্তি: যদি আমি কখনো চলে যাই অনেকদূরে?
সৌম্য: যেতে দেবই না।তোমাকে ভালোবাসতে আমি প্রাণ দিয়ে দেবো প্রয়োজন হলে ।
দীপ্তি: বেশ! সময় এলেই বোঝা যাবে।
(কয়েক বছর পর দীপ্তি গুরুতর অসুস্থ,নার্সিং হোমে ভর্ত্তি)
সৌম্য: ডাক্তারবাবু কি বুঝছেন?
ডাক্তারবাবু: ওনার ব্লাড ক্যান্সার,লাস্ট স্টেজ।মনকে শক্ত করুন।(একথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো সৌম্য,চোখ মুছে দীপ্তির কাছে গেলো)
দীপ্তি: সৌম্য আমাকে বাঁচাও।আমি আড়াল থেকে সব শুনেছি।আমি বাঁচতে চাই সৌম্য...তুমি তো বলেছিলে আমাকে কোত্থাও যেতে দেবে না ,তাই না.....(ভিতরটা কষ্টে দুমড়ে মূচড়ে যাচ্ছে সৌম্যর, সান্তনা দেবার ভাসাটুকুও খুঁজে পেলো না, বেরিয়ে এলো বাইরে।)
সেদিনের পর থেকে সৌম্য আর আসেনা।দীপ্তি নাম ধরে ডেকে যায় কেবল।
দু সপ্তাহ পরে.....
হসপিটালে কান্নার শোরগোল।দীপ্তি চলে গেছে চিরতরে সকলকে ছেড়ে।
কথাটা কানে পৌঁছাতেই ....
সৌম্য:(বাড়িতে)দীপ্তি আমি আসছি । চিন্তা করোনা।তোমাকে বলেছিলাম ভালোবাসতে প্রাণ টাও দিতে পারি ।আমি কথা রাখবো দীপ্তি....(একথা বলেই ঘুমের ওষুধের শিশিটা মুখে ঢেলে দিলো)
৩-৪ ঘন্টা পরে সৌম্যর মা ঘরে এসেই চমকে উঠলেন।ঠান্ডা ,নিথর দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে।
ওদিকে তখন দীপ্তি
কে শেষ বিদায় দিচ্ছে সকলে....এভাবেই শেষ হলো তাদের ইহজীবনের প্রেম..... কথায় বলে ভালোবাসা অমর। পরপারে নিশ্চয় দেখা হবে দুজনের,
সেখানেও তৈরি হবে আর এক ভালোবাসার পৃথিবী ।।
রচনাকাল : ৩/৮/২০২০
© কিশলয় এবং পূর্বালী চক্রবর্তী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।