সকাল থেকেই মুষলধারে শ্রাবণের ধারা। কত শত ভাবনার আসা যাওয়া মনে। ঋতাদেবী একাকী একমনে জানলায় দাঁড়িয়ে আছেন,সময় কাটেনা যে।ছেলে তার পরিবার নিয়ে দিল্লিতে থাকে।কলকাতায় তিনি একাই থাকেন। মিনু সকাল বিকাল এসে কাজ করে দিত।এখন ওদের পাড়া নাকি কন্টেন্মেন্ট জোন।তাই এক সপ্তাহ হলো আসছেনা।ছেলে মাসে দু তিনবার করে ফোন করে।বাকি দিনগুলো মায়ের কিভাবে সময় কাটে জানতেও চায়না সে।এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যেনো অশ্রুধারা নেমে চশমার কাঁচটা ঝাপসা করে দিল।এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো সবাই থেকেও কেউ নেই তার,বড্ডো একা তিনি।হঠাৎ সম্বিৎ ফেরে সিমটি র ডাকে...ম্যাও ম্যাও।আদর করে কোলে তুলে নিলেন তাকে।পোষা বিড়াল টাও এখন বেশি বাইরে যায়না,যেনো বুঝেছে ওনার একাকিত্ব দশা।তখন তার মনে হলো তিনি একা নন,কেউতো অন্তত আছে তার সঙ্গে।এই নিরীহ প্রাণীগুলোর অন্যের কষ্টের অনুভূতি যে মানুষের থেকে অনেক বেশি।তাই তো এরা ওনার অনেক বেশি কাছের ।।
রচনাকাল : ৩১/৭/২০২০
© কিশলয় এবং পূর্বালী চক্রবর্তী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।