মায়ের টান
খোকা যখন অবোধ শিশু ঘুরত বাড়িময়,
বীরের মত দুষ্টুমিতে করত রাজ্যজয়।।
সোহাগ ভরে আদর করে নিতেম কোলে তুলে,
সুখাবেশে মগন হতেম সমস্ত কাজ ভুলে।।
ঘুম পাড়াতেম জড়িয়ে নিয়ে বুকের উষ্ঞতায়,
চুম্বন এঁকে দিতেম ভালে পরম মমতায়।।
নজর যেন না লাগে কারো আমার খোকার পরে,
কপালে কাজল টিকা দিতেম চাঁদের মত করে।।
আপদ বালাই আসলে আমার মনটা উচাটন,
বিনিদ্র রাত কাটাই কত মলিন দিবাক্ষন।।
মুখের হাসি যেন খোকার চন্দ্রিমার আলো,
ছোট্ট দেহের মিষ্টি সুবাস লাগত ভীষন ভালো।।
দুষ্টু চোখের চাহনিটা লাগত বড় মিষ্টি,
বাধ সাধলে অভিমানে ঝরত অশ্রুবৃষ্টি।।
চিনে নিতেম তার চোখের অবুঝ মনের ভাষা,
উজাড় করে দিতেম তারে আদর ভালোবাসা।।
মায়ের স্নেহ,মায়ের রক্ত মাতৃত্ত্বের বন্ধন,
সে যে আমার নয়নমণি নাড়ী ছেঁড়া ধন।।
সময় অনেক বয়ে গেছে স্রোতস্বিনীর মত,
খোকা এখন তরুন যুবক উচ্চশিক্ষায় রত।।
তার সুখেতে পাই যে সুখ তার দুখেতে দুখ,
তার কৃতিত্বে হই যে পূর্না গর্বে ভরে বুক।।
মাতৃত্বের স্বাদ পেলেম আমি মা ষষ্ঠির বরে,
দীর্ঘায়ু হোক আমার খোকা দেশের দশের তরে।।
যুথীকা দেবনাথ
রচনাকাল : ৩/৭/২০২০
© কিশলয় এবং যুথিকা দেবনাথ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।