আমাদের দেশে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম দিন পয়লা জুলাই ,আবার ঐ দিনটি তার মৃত্যু দিন ও ! এই পয়লা জুলাই তারিখ কে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে ১৯৯১ সাল থেকে ! ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় ছিলেন একজন খুব ভালো চিকিৎসক ,এই জন্য তার ঐ জন্ম ও মৃত্যু দিনটি সারা দেশ পালন করে !
গায়ের সাদা জামা আর গলায় একটা স্টেথো নিয়ে সারাদিন যে ভাবে রোগীর দের দেখভাল করে যাচছে ,প্রতিটি মুহূর্তে জীবনের বাজী রেখে রোগী দের সুস্থ করে তুলছে ,সত্যিই তাদের ভগবান ছাড়া কিছু বলা যায় না ! রোজ কোন না কোন নতুন রোগী আসছে আর তাদের সেই রোগের সাথে যুদ্ধ করে যাচছে প্রতিটি চিকিৎসক রা ,তাদের কে যোদ্ধা ছাড়া কিছু বলা যায় না !
আমি একটা ছোট্ট ঘটনা বলছি ,এক হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসক ছিলেন
কিছু দিন আগে সেই তার একটা বাচ্চা মেয়ের জন্ম দেয় , কিছু দিন পর করোনা ভাইরাসের থাবা বসিয়ে ছে অনেক মানুষের মধ্যেই ,তখন অনেক মানুষ তার রোগ নিরাময়ে জন্য ঐ মহিলা চিকিৎসক কাছে আসে ! ঐ মহিলা চিকিৎসক একজন মহিলা হয়ে ও তার নিজের বাচ্চা টি দেখতে বাড়ি যেতে পারতো না ! কারন এই রোগ ছিল খুব ভয়ানক ,আগেই রোগীর কে সুস্থ করা হলো তার কাজ ! সেই ঐ কাজ ফেলে কি করে যেতে পারে ,তাই সকাল সন্ধ্যা বাড়ির লোকজন কে ভুলে ঐ সব রোগীর দের দেখভাল করতো ! সব দুঃখ ও মায়া ভুলে সেবা করে যাচছে রোগী দের ! আর রোগীর রোগ সারিয়ে তারাও সুস্থ হয়ে উঠছে ,চিকিৎসক দের ছাড়া আমাদের একদিন ও চলে না , তাই চিকিৎসক রা হলো আমাদের কাছে ভগবান ! ওরা চব্বিশ ঘন্টা ধরে সমানে লড়াই করে যাচছে আমাদের সুস্থ করার জন্য ! এক একজন চিকিৎসক খুব দায়িত্ব নিয়ে নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে যাচছে আমাদের জন্য এই মহামারী সাথে !
নিজেদের সংসার ছেড়ে রোগীর জটিল রোগ সারিয়ে সুস্থ করার তার একমাত্র লক্ষ্য্ ! আমাদের সামান্য কিছু হলেই ডাক্তার রের কাছে ছুটি ! তাই আমি আমার অন্তর থেকে সকল চিকিৎসক কে অভিনন্দন জানাই ,এই চিকিৎসক রা আছে বলে আমরা আমাদের জীবন কে সুরক্ষা রাখতে পারছি ! আমার কাছে তারা হলো এক যোদ্ধা বলে মনে করি ,তাই এই শুভ চিকিৎসক দিবসে প্রতিটি চিকিৎসক কে শুভেচ্ছা ও ভালো বাসা জানাই !
রচনাকাল : ২৯/৬/২০২০
© কিশলয় এবং অনাদি মুখার্জি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।