পাড়ার বখাটে ছেলে বাবলা একদিন পাশের গ্রাম থেকে একটা ঘোড়া চুরি করে নিয়ে এসেছে। পরের দিন দুপুরে ঘোড়াটি নিয়ে হাটে বিক্রি করতে যাচ্ছে। এমন সময় পাড়ার ধনী ব্যক্তি রামশঙ্করবাবুর চোখে পড়ে যায়।
-কিরে বাবলা, ঘোড়া বিক্রি আছে?
-আছে।
-তা দাম কত?
-পুরো পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। আমার ঘোড়া খুব তেজী। জোরে দৌড়ায়।
-একটু কম করে নিলে হয় না? তুই বরং তিন হাজার টাকা নে।
-না, একটাকাও কম হবে না। অনেক কষ্টে ঘোড়াটাকে বড় করেছি। পুরো পাঁচ হাজার টাকা লাগবে।
রামশঙ্করবাবু আর দামাদামি না করায় বাবলা ঘোড়া নিয়ে সোজা হাটে হাজির।
সেখানে এক বাটপাড় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এসে জিজ্ঞেস করে ওহে ভাইয়া, তোমার এ ঘোড়া কত দাম দিতে হবে?
-পুরো পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে।
-বেশ, তাই দেব। তা ভাইয়া, তোমার এ ঘোড়া দৌড়াতে পারে?
-হ্যাঁ, আমার এই ঘোড়া খুব জোরে দৌড়ায়। বিশ্বাস না হয় ছুটিয়ে দেখুন না!
বাটপাড় মনে মনে ভাবছে, ওটাই তো আমি চাইছি রে ভাই।
-বেশ, তাহলে দেখা যাক কেমন দৌড়ায়! আমার এই জুতো জোড়া এখানে রইল, লক্ষ রেখ। আমি যাবো আর আসবো।
-ঠিক আছে, যাচাই করে নিন।
ঘোড়ায় উঠে লাগাম ধরে টান মারতে চুরি করা ঘোড়া দিল দৌড়। এদিকে চোর বাটপাড়ের ফেরার অপেক্ষায় বসে থেকে থেকে যখন সে ফিরছে না। তখন চোর বুঝতে পেরে জুতো জোড়া নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রামশঙ্করের সাথে দেখা।
-কিহে বাবলা, ঘোড়া বিক্রি হল?
-ওই হল (মুখ কাঁচুমাচু করে বলল)।
-তা কত টাকায় বেচলে?
চোর এবার অন্য দিকে তাকিয়ে বুদ্ধি করে বলল, ওই যে টাকায় কেনা ছিল সে টাকায় বিক্রি হল। লাভের মধ্যে এই জুতো জোড়া।
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।