(১)
মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
সেদিন হল স্যারের সাথে যে মেয়েটির বিয়ে।
যার বিয়েতে ভূরিভোজন খেলাম কব্জি ডুবিয়ে।
সে রমণী ভিক্টোরিয়ায় শনিবার বিকালে।
অন্যজন সাথে করে ঘুরছে হেলে দুলে।
তাঁরে আমি চিনি, সে কি চেনে ছাই?
তখন যেন মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
(২)
মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
যে লোকটি ছোটবেলায় নারীধর্ষণ করে।
পাঁচটি বছর থাকে জেলের অন্ধকার ঘরে।
সে এখন ব্যালট লুটে, হল নির্বাচিত নেতা।
চরিত্রের শংসাপত্র দেন, সর্বকাজের হোতা।
চরিত্রহীনের হাতে মোদের চরিত্র হয় যাচাই।
তাই তো আমার মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
(৩)
মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
যে মেয়েটি আমার জন্য, ছিল পাগলপারা।
সে এখন অন্যের আকাশে রাত জাগা তারা।
ঐ আকাশে সেই তারা কভু রয় না চিরদিন।
শ্যাওলার মত জীবন তাঁদের, যাঁরা সঙ্গীহীন।
একা জীবন, একাই মরণ, আর সঙ্গ নাহি চাই।
মাঝে মাঝে তাই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
(৪)
মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
নেতার ছেলে কোনক্রমে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ।
সারাজীবন পাঠ নিতে মোদের সংসার জীর্ণ।
আমি এখন সিকিউরিটি গার্ড, সে অফিসার।
তাঁর কৃপায় চাকরী টিকে, ভাবতে মজাদার।
রাগে ক্ষোভে জিহ্বা ফাটে, কিছুই বলতে নাই।
শুধু মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
(৫)
মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
যে মেধাবীর জ্ঞানের সুধায়, পণের কথায় না।
তাঁর বিয়েতে বিশ লক্ষ টাকা, সকল গরিমা।
শ্বশুর যদি দিতে চায়, কি করে না করি?
লঘু হয়ে গুরুজনে, বিতর্ক নাহি পাড়ি।
এমন জ্ঞানীর মোর জীবনে কোন জায়গা নাই।
শুধু মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি নষ্ট হয়ে যাই!
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।