আঁধার কেটে পূব আকাশে, মিষ্টি মধুর হিমেল বাতাসে
আসে যখন দিনমণি।
আগের যত গ্লানি ভুলি, প্রকৃতির এই কোলাকুলি
নিয়ে নতুন স্বপ্নের হাতছানি।
কৃষ্ণনামের সুরে সুরে, আজানের ধ্বনি ভাসে দূরে
মুখর হল নীরব পরিবেশ।
বৈষ্ণব তুলিয়া হাত, জানান দিল আগত প্রভাত
করহ কাজে মনোনিবেশ।
শাখে শাখে পাখির কুজন, মাধুর্যে ভরে প্রাণ ও মন
শিউলি ঝরে পড়ে ধরায়।
পুব দিগন্তে আলোর রেখা, রাতের আঁধার পায় লজ্জা
করবী আনন্দে রক্ত ঝরায়।
বউ কথা কওবলছে পাখি, এখনো তুমি ঘুমাবে নাকি?
ভোরের স্বপ্নে বিভোর হয়ে।
ছোট্ট শিশু ঘুমের ঘোরে, মৃদু হাসি খেলা করে
পেলবতা ভাসে মুখমণ্ডলে।
সরোবরের জলের পরে, মরালের দল যায় ভিড়ে
সুখস্নান করে বারিধারায়।
ছাত্রধারা একে একে, মিলে যায় দূর বাঁকে
যায় গুরুপাশে পাঠশালায়।
দূর করি নিশির জড়তা, নতুন করে বাঁচার বার্তা
হাতের উপর রাখো হাত।
সময়ের সরণি বেয়ে, সময় চলেছে ধেয়ে
ভোর ঊষার সাথে আসে প্রভাত।
রায়দিঘি/সুন্দরবন/১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।