(১)
তোকে কেন এত ভালো লাগে জানিস?
আমি যখন সিমলা যাবো, চড়ে বসলাম ট্রেনে
তুই তখন অশ্রুচোখে, তাকিয়ে মোর পানে।
তখন কি ছাই জানি এত, কেন চোখে জল?
ট্রেন যখন আড়াল হল, মোর নয়ন ছলছল।
কি যে হল, শুন্য হৃদয়, হল তোর লাগি।
তোর ভাবনায় ভাবি আমি, সারা নিশি জাগি।
(২)
তোকে কেন এত ভালো লাগে জানিস?
কেটে গেছে তিন বসন্ত, যেদিন এলাম ফিরে।
সেদিনও দেখি দাঁড়িয়ে আছো, আমার হৃদয় তীরে।
তুই থেকে তুমি হলে, লাজুক হল মন।
লজ্জা পেলেও তোমায় খোঁজে, আমার দুনয়ন।
তোমার প্রেমে মগ্ন আমি, তুমিও উন্মত্তা।
ভাললাগা আজ ভালোবাসা, তব বাগদত্তা।
(৩)
তোমাকে কেন এত ভালো লাগে জানো?
আমি যখন তোমার চোখে, খুঁজি ফিরি সৃষ্টি।
তুমি তখন আড় নয়নে, হয়ে প্রেমের বৃষ্টি।
সংকট মাঝে আশ্বাস তুমি, জাগিয়ে আশার আলো।
তাইতো তুমি এত আপন, আঁধারে মশাল জ্বালো।
এত প্রেম, ভালোবাসা, হারায় যদি আমি।
ভালোবাসার ভুবনডাঙ্গা, হবে মরুভূমি।
তুমি আমার বৃষ্টিভেজা, পাহাড় ঘেরা সবুজ।
সেদিন চোখে প্রেমাশ্রু, বোঝেনি মন অবুঝ।
(৪)
তোমাকে কেন এত ভালো লাগে জানো?
প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা, সহানুভূতি সব ধায়।
প্রেমের অশ্রু না গড়িয়ে, বয়ানে ঝাঁপায়।
তোমার প্রেমে মগ্ন আমি, হেরি সেই জল।
মোর বিরহে, নয়ন মাঝে করে টলমল।
দুটি দেহ, একটাই মন, ভালোবাসার প্রতীক।
স্বার্থ ছেড়ে পায় পরমার্থ, প্রেম তোমার সঠিক।
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।