(১)
‘তুমি দেখো, আর একবার হলেও মানালি আমি আসবই’।
এই বিয়াস নদীর পাশে দাঁড়াব আরও একবার....।
বাতাসে কান রেখে শুনব, তার বয়ে যাওয়া কলকল ধ্বনি।
তুমি বলেছিলে, ‘নিশ্চয় আসবে, কেন নয়?’
যাওয়ার সুযোগ পেলাম যখন, মন চাইল না।
শুধু মনে হল, তোমাকে ছেড়ে মানালি, জাস্ট ভাবতেই পারছি না।
সেদিন বুঝেছিলাম, মানালি নয়, তোমার প্রেমে ডুবে আছি আমি।
(২)
কুন্তল স্যার, আমাদের অঙ্কের জাদুকর।
তুমিই তো স্যারের কাছে, টিউশন পড়তে বলেছিলে।
সবাই যখন উপপাদ্যগুলো একবারেই বুঝে যেত,
আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকত না।
পরে যখন তুমি বুঝিয়ে দিতে, মনে জায়গা পেত।
অঙ্ক নয়, উপপাদ্য নয়, ওটা শুধু তুমি গো তুমি।
সেদিনই বুঝেছিলাম, আমি ভেসে গেছি তোমার প্রেমে ।
(৩)
সেবার আমি জ্বরে বেহুঁশ, রাত্রি ঘোরতর।
নিশি জুড়ে ঝড়বৃষ্টি, মা চিন্তায় কাতর,
তুমি ভিজে চুপসে এলে, সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার।
সম্বিৎ পেলাম ঠাণ্ডা হাতের চারটি আঙ্গুলের পরশে।
সেদিন বুঝেছিলাম ওটা আর কেউ না, ওটা তুমি।
ডাক্তার পরীক্ষা করে জানালো, তেমন কিছু নয়।
আমিও সেদিন বুঝেছিলাম, আমার জ্বরের ওষুধ শুধু তুমি।
(৪)
আমি শুয়ে বিছানায়, সুস্থ ততক্ষনে
তোমার সিক্ত শরীর তপ্ত হল, বিধির বিধানে।
সেদিন তোমার বৃষ্টিস্নাত চোখে,হেরেছিলাম অশ্রু,
একফোঁটা পড়েছিল অধরে, স্বাদ ছিল নোনতা।
তোমার হৃদয়ে এত প্রেম, মোর সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
উছল হয়ে প্রানবন্ত, মোর বক্ষমাঝে তুমি।
সেদিন আমি বুঝেছিলাম, আমাতে নেই আমি।
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।