(১)
চৈতালি, তুমি মোর রাত জাগা তারা, কুহু কুহু ডাক!
শীতের আবেশ সমাপনে চৈতি এল ঘরে,
সঙ্গে নিয়ে ফাল্গুনীরে, প্রেমের ধ্বজা ধরে।
সে আবেশে মত্ত আমি, তুমি শ্রান্ত কবি,
কাব্য রসের ধারা দিয়ে, আঁকব তব ছবি।
(২)
চৈতালি, তুমি আমার যৌবনের উপবন!
তোমায় পেয়ে মোর পরানে, যৌবনের সাড়া,
বসন্ত জাগ্রত ঐ, দেখ চোখের ইশারা।
আকুলভাবে ডাকলে তুমি, আমি থাকি ঘরে,
তোমার সাথে কাল কাটাব সারা জীবন ধরে।
(৩)
চৈতালি, তুমি আমার রোদনভরা বসন্ত!
চৈতালি, তুমি মোর চৈতি, ফাল্গুনী, বাসন্তীর ছোঁয়া,
তোমার সাথে প্রাণে মোর, লাগলো প্রেমের হাওয়া।
এত প্রেম এক জীবনে কোথায় রাখি ধরে,
তোমা সম প্রেমের আধার নেই মোর নীড়ে।
(৪)
চৈতালি, তুমি আমার বিরহের মাঝে মিলনের আনন্দ!
তুমি আমার পলাশ-মহুয়া, মহুলবনের ডাক,
বিকেল বেলায় ভোরের আলো, যৌবনের ঝাঁক।
তুমি আমার দোলপূর্ণিমা, নানা রঙের দিন,
তোমা বিনে এ জীবন, আলো প্রেমহীন।
(৫)
চৈতালি, তুমি মোর কবিপ্রেম শান্তিনিকেতনে!
তোমায় খুঁজে কত দ্বারে করি বিচরণ,
অবশেষে এলে তুমি দিতে দরশন।
তুমি আমার এ জনমে শান্তির ললিত বাণী,
তোমা ছাড়া, সর্প যেন মনি হারা ফণী।
--------
(শান্তিনিকেতন/বিশ্বভারতী/২০শে আগস্ট, ২০১৮)
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।