(১)
বৈশাখী, তুমি আমার যৌবনের আলো!
সখী, তুমি মোর সকালবেলার আঁধারঘন আকাশ
চৈত্রের চিতা ভস্ম উড়ানো, এক চিলতে হিমেল বাতাস।
তোমার সাথে পেয়েছিলাম, দাবদাহের ছোঁয়া,
তুমি মোর তপ্ত হৃদয়ে, এক নতুন উন্মাদনা।
(২)
বৈশাখী, তুমি ছিলে প্রখর রোদে শীতল এক ছোঁয়া!
তোমায় নিয়ে খেলা করি, মানালির ঐ গাঁয়ে,
তোমায় কত খুঁজে বেড়াই বিয়াসের তীরে।
তোমার সাথে হালখাতা, আর শুভ মহরৎ,
তোমার সনে গণেশ পুজা, বসিয়ে নহবত।
(৩)
বৈশাখী, তুমি তো আমার নতুন করে পাওয়া!
তোমার সাথে গোষ্ঠ মেলা, বাঁশীর মোহন সুর,
মনের মাঝে হারায় আমি, লুকায় বহুদূর।
তোমায় নিয়ে রবিপ্রেম, পঁচিশে বৈশাখ,
তুমি আমার নববর্ষের, প্রথম বিজয় ঢাক।
(৪)
বৈশাখী, তুমি আমার অষ্টাদশী, মনের মাঝে উঁকি!
তোমায় হেরি আনন্দে মাতে, বিশ্বচরাচর,
প্রাণের মাঝে দিলে সুধা, নব প্রভাকর।
ওগো, তুমি আমার প্রথম প্রেম, তুমি আমার লজ্জা,
তোমায় হেরে ত্যজে ছিলাম, চৈত্রের শরশয্যা।
(৫)
বৈশাখী, তুমি তো আমার কিশোর বেলার সাক্ষী!
তোমায় নিয়ে আম কুড়ালাম, ভুবনডাঙ্গার মাঠে,
তোমার সাথে স্বপ্ন বুনি, তালপুকুরের ঘাটে।
তুমি আমার মননে আর, হৃদয়ে আছ বৈকি,
তুমি মোর তপ্ত নিদাঘের, কোমল ‘বৈশাখী’।
--------------
(শান্তিনিকেতন/বিশ্বভারতী/২০শে আগস্ট, ২০১৮)
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।