স্বাগতম শুভ নববর্ষ ......বর্ষ বরণ-১৪২৭
শুভ নববর্ষের কবিতা পঞ্চম পর্ব
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এসো হে বৈশাখ এসো এসো...... রবীন্দ্রনাথের গানের এই কথাগুলো যেন এখনকার পৃথিবীর জন্য। করোনার প্রকোপে একদিকে লাখো লাখো মৃত্যু, আরেকদিকে নিয়ম মেনে জীবনের এগিয়ে চলা। তারই ধারাবাহিকতায় এর মধ্যেই বাংলা ১৪২৭ শুভ নববর্ষের শুরু।
বরীন্দ্রনাথকে স্মরণ করেই বাঙালি মন গেয়ে উঠবে—
‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।
তবু প্রাণ নিত্যধারা,
হাসে সূর্য চন্দ্র তারা,
বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে॥’
দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি আর লকডাউনের মধ্যে এবারের নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। আমরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শপথ নিই— সামাজিক ভাইরাস প্রতিহত করার। পুরনো বৈষম্য ও অধিকারহীনতা যেন জেঁকে না বসে, সেটি মনে রাখতে হবে। সামাজিক সমাজতন্ত্র যেন কায়েম করতে পারি নতুন বছরে সেই নতুন প্রত্যাশা দিয়ে শুরু করি।
এবারের প্রত্যয় যেন ব্যক্তিগত না হয়ে সমষ্টিগত হয়। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারলে আবারও নতুন নতুন কাপড় পরে নতুন বছরকে আহ্বান জানানোর দিন আসবে। মনে রাখতে হবে এক বৈশাখে শেষ হবে না। আগামী বৈশাখে আমরা আবারও ঠিক আগের বর্ষবরণের মতো উদযাপন করবো।
চলে গেল বসন্ত। ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সবমলিনতা। পয়লা বৈশাখের নতুন সকালে, দোলা লাগুক সবাকার প্রাণে প্রাণে, আর আনন্দের এই পূণ্য শুভক্ষণে আজ বাংলা কবিতা আসরের সকল শ্রদ্ধেয় কবিগণকে জানাই শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা।
“শুভ নববর্ষ”
নতুন পোশাক নতুন সাজ।
নতুন বছর শুরু আজ।
মিষ্টি মন মিষ্টি হাসি।
শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি॥
আঁধার ভেদ করে সূর্যকিরণ প্রতি জীবন দুয়ারে পৌছে যাক যাপিত জীবনের যাবতীয় গ্লানি ভুলে, আসুন রাঙিয়ে তুলি বাংলার নতুন বছর-১৪২৭ !
করোনার আক্রমণ থেকে নিজে বাঁচতে আর অপরকে বাঁচাতে সতর্কতা অবলম্বন করে আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। বাইরে বার হবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান। সু্স্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
শুভ নববর্ষের কবিতা পঞ্চম পর্ব
কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শুভ নববর্ষ আসিল
ফুলের কলি ফুটিল
নববর্ষে উঠিল অরুণ,
বন্দী সবে আছে ঘরে,
নববর্ষ বরণের তরে,
গৃহবন্দী সকল তরুণ।
রাঙাপথে গোরুগাড়ি
নাহি চলে সারিসারি
সবুজ মাঠে ফিঙে পাখি,
অজয়ের দুই পাড়ে,
তালগাছ সারে সারে
বাবুই পাখিরা উঠে ডাকি।
বেলা যায় সন্ধ্যা আসে
বাঁশ বনে চাঁদ হাসে,
জোছনার রাশি পড়ে ঝরে,
নির্জন অজয় ঘাটে,
দিবস শর্বরী কাটে,
ভোর হয় অজয়ের চরে।
রচনাকাল : ১২/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।