ওই যে হঠাৎ সেদিন এসে বললে, "তুমি আমায় ভালোবাসো। "
বললে তো সারা শহর কে সাক্ষী রেখে যে, "তুমি আমায় ভালোবাসো। "
সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল অঝোরে
তুমি খেয়াল করোনি, খেয়াল করোনি আমার চোখের জল পরছিল।
একটা ধর্ষিতা মেয়েকে ভালোবাসো?
যে কিনা সমাজের চোখে নষ্ট ;
তাকে কি না বলছো ভালোবাসো তাও শহরের মা, বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করে -
এত দুঃসাহস তোমার? এত?
যদি জিজ্ঞেস করি -"কেন ভালোবাসো আমায়"?
দয়া দেখাতে ! নাকি, একসময় আমি পাড়ার সবথেকে সুন্দরী ছিলাম বলে;
কোনটা, কোনটা বল ?
বলে দিলে কেমন ভালোবাসি তাও একটা ধর্ষিতা মেয়েকে।
যাকে তার পরিবার মেনে নেয় না; দিনে রাতে শুনতে হয় সে সুন্দরী আর ওটাই নাকি দোষ!
তাকে তুমি ভালোবাসো? কেন গো? কেন? এত সহজ না কি ভালোবাসা।
আমাকে স্পর্শ করতে তোমার বাঁধবে না! সত্যি করে বল? হ্যাঁ! যত কঠিনই হোক সত্যি বল।
এত দুঃসাহস তোমার আমায় প্রেম দিতে চাও? এত বড় প্রেমিক তুমি?
কি করে বল, বলতেই হবে। বলতেই হবে তোমাকে এত প্রেম কেন, তাও আমার জন্য।
শুনে রাখো প্রেমিক, তুমি যত বড় প্রেমিক হও না কেন যতই তোমার প্রেম সাক্ষী রাখুক গোটা শহরকে ;
এই ধর্ষিতা মেয়ের ভালোবাসা পাওয়া এতো সহজ হবে না।
তোমায় শত,হাজার, লক্ষ পুরুষের ভুল প্রমান করতে হবেই ধর্ষিতার কাছে, সমাজের চোখে যতই লাঞ্ছনা সহ্য করি প্রেমিক,তোমার চোখে নিজেকে কোনদিন লাঞ্ছিত হতে দেখতে পারবো না।
আবারো সাক্ষী থাকুক এই বৃষ্টিভেজা শহর;
তোমাকে,হ্যাঁ তোমাকেই, এত দুঃসাহস যখন দেখিয়েছো তোমাকেই প্রমাণ করতে হবে তুমি এই "ধর্ষিতার" প্রেমিক হওয়ার যোগ্য।
তারপর তোমার যোগ্যতম হওয়ার চেষ্টা করব।
কথা দিলাম.........।।
রচনাকাল : ১১/৬/২০২০
© কিশলয় এবং চৈতালি ধর বারিক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।