(সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তমনস্কদের জন্যে)
প্রতিমাকে বিছানায় নিয়ে অনেকবার শুয়েছি,শুতেও দেখেছি। কিন্তু ধূপধুনোর গন্ধ মেখে কাফনে মুখ ঢেকে শুয়ে থাকতে এই প্রথম দেখছি। ও যে কেন বাকি মেয়েছেলেগুলোর মত মুখরা, খিস্তিকাটা দজ্জাল বেশ্যা হয়ে উঠতে পারল না কোনোদিন কে জানে। ও যেন চিরকেলে সেই ক্ষীরের পুতুল টি, মিষ্টি মিষ্টি, নরম, শান্ত, মুখচোরাটি উলুলুলু একেবারে, এবার হল তো। কাল রাতে নাকি অতিরিক্ত ধর্ষণ সহ্য করতে না পেরে... কে জানে কোন হায়নার হাতে পড়েছিল .. ঘুরিয়ে একটা লাথ্থি মারতে পারলি না মাগী......ধুর বাল দিনটাই বাজে।
এবেলার মত বেশ্যাপাড়ায় ধান্দা বন্ধ তা'লে, সবাইকে চুপচাপ দেখছি। কিন্তু এখেনে আর বেশীক্ষণ থাকা যাবে না। সাদা চাদর টা সরিয়ে ওকে একবার দেখেই পালাতে হবে। দিনের বেলায় বেশ্যাপাড়ার এ দিকটা জম্মেও মাড়াইনা, কেউ দেখে ফেল্লেই কেস, যতই হোক মধ্যবিত্ত ভদ্দরঘরের ছেলে বলে কতা।
সাহস করে চাদর টা সরিয়েই ফেললাম প্রতিমার মুখ থেকে। উফ দু কানে তালা লেগে যাচ্ছে। দিন দুপুরে বিসর্জনের ঢাক বাজাচ্ছে কারা ? উফফ।এত মেয়ে এলো কোথা থেকে, গলা বাড়িয়ে সমানে উলু দিচ্ছে, সিঁদুরে মাখা ফর্সা মেয়ে বৌ গুলো প্রতিমার মুখে সন্দেশ গুঁজে গুঁজে দিচ্ছে। বেশ্যাপাড়ার বাচ্চা গুলো ঢাকিদের সাথে হ্যালহ্যাল করে ভাসানের নাচ নাচছে। প্রতিমা টপকে যাবার দুঃখে মালটা কি একটু বেশী টেনে ফেলেছি আজকে? ওকে ভাসান যাওয়া দুগ্গা ঠাকুরের মত দেখতে লাগছে কেন? ঠাকুর ভাসানের দিন না আমার হেবি কান্না পায়। এই আজকে বিজয়া দশমী নয় তো?
©স্বাগতা সরকার মিষ্টু
রচনাকাল : ১০/৬/২০২০
© কিশলয় এবং স্বাগতা সরকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।