করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার।
সবাই করো সংগ্রাম........ নবম পর্ব
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করল চীন! চীনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মরণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। তবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন চীনের চিকিৎসকরা।
চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, ভাইরাসটির নির্মূলে যে নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন তাতে তারা সফল হয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের এ দাবি প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, দুটি হাসপাতালের সাতজন মেডিকেল স্টাফের ওপর এ নতুন ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এসব রোগীর দেহে সংক্রমিত ভাইরাসের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।
টোংজির ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ অব হুয়াংজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এক টুইটবার্তায় শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির কাছে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
তবে নতুন এই ভ্যাকসিনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের খবরটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবিকে তারা যাচাই করে দেখবেন বলে জানা গেছে। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকেই ওই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: সিএনএন
ভয়ংকর এই করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। তবে এর পরিণামে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের দুই শতাংশ মারা গেছেন, হয়তো আরও মৃত্যু হতে পারে। তাছাড়া এমন মৃত্যুও হয়ে থাকতে পারে যা চিহ্নিত হয়নি। তাই এ ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ংকর, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মনে রাখবেন হাত সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষবেন না, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরতে হবে। ‘আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মুখোশ পরুন, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ পরুন।’
বাইরে বেরোবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান। সু্স্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
সবাই করো সংগ্রাম........ নবম পর্ব
কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ঘরে বন্দী আছি তাই
আর কোন পথ নাই,
লক-ডাউন হয়েছে ঘোষিত,
দূরত্ব বজায় রেখে,
মুখে মাস্ক নাও ঢেকে,
করোনা হবেনা সংক্রমিত।
ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে,
একে অপরে রাখ দূরে,
হাত তব ধুয়ো বারংবার,
বাঁচার তরে এ লড়াই,
লড়াই করে বাঁচা চাই,
করোনার হোক প্রতিকার।
লক-ডাউন দিকে দিকে,
বাঁচো ভাইরাস থেকে,
নিজে বাঁচো অপরে বাঁচাও,
গৃহে বন্দী হয়ে থাকো,
দূরত্ব বজায় রাখো
সহজেতে করোনা তাড়াও।
সময় যে বয়ে যায়,
বাঁচবার আশা নাই,
বিশ্ব আজ করোনার গ্রাস,
বাহিরেতে যেতে মানা,
দিকে দিকে দেয় হানা,
বিশ্বত্রাস করোনা ভাইরাস।
রচনাকাল : ৮/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।