করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার। সবাই করো সংগ্রাম........ অষ্টম পর্ব
আনুমানিক পঠন সময় : ৪ মিনিট

কবি : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৮১ টি দেশ ব্যাপী ৩৭১৭৩১ জন পড়েছেন।
করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার।
সবাই করো সংগ্রাম........ অষ্টম পর্ব
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভয়ংকর এই করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। তবে এর পরিণামে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের দুই শতাংশ মারা গেছেন, হয়তো আরও মৃত্যু হতে পারে। তাছাড়া এমন মৃত্যুও হয়ে থাকতে পারে যা চিহ্নিত হয়নি। তাই এ ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ংকর, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


এক দশক আগে সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেটিও ছিল এক ধরনের করোনা ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারের বেশি মানুষ। আর একটি ভাইরাসজনিত রোগ ছিল মিডল ইস্টার্ন রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা মার্স। ২০১২ সালে এতে মৃত্যু হয় ৮৫৮ জনের।


করোনা ভাইরাসের লক্ষ্মণ কী


করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, জ্বর এবং কাশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং তখনই কোনও কোনও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।


কীভাবে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস


মধ্য চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূচনা। ৩১ ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে প্রথম চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


তবে ঠিক কীভাবে এর সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেরনি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সম্ভবত কোনও প্রাণী এর উৎস ছিল। প্রাণী থেকেই প্রথমে ভাইরাসটি কোনও মানুষের দেহে ঢুকেছে এবং তারপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। এর আগে সার্স ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রথমে বাদুড় এবং পরে গন্ধগোকুল থেকে মানুষের দেহে ঢোকার নজির রয়েছে। আর মার্স ভাইরাস ছড়িয়েছিল উট থেকে।
করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে উহান শহরে সামুদ্রিক একটি খাবারের কথা বলা হচ্ছে। শহরটির একটি বাজারে গিয়েছিল এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।  ওই বাজারটিতে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হতো


কিছু সামুদ্রিক প্রাণী যেমন বেলুগা জাতীয় তিমি করোনা ভাইরাস বহন করতে পারে। তবে উহানের ওই বাজারে মুরগি, বাদুড়, খরগোশ এবং সাপ বিক্রি হতো।


এর চিকিৎসা কী?


ভাইরাসটি নতুন হওয়াতে এখনই এর কোনও টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এমনকি এমন কোনও চিকিৎসাও নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে মানুষকে নিয়মিত হাত ভালোভাবে ধোয়া নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং ঠান্ডা ও ফ্লু আক্রান্ত মানুষ থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে তারা। এশিয়ার বহু অংশের মানুষ সার্জিক্যাল মুখোশ পরা শুরু করেছে।


আপাতত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ডাক্তারদের পরামর্শ, বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা ও ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা।
মনে রাখবেন হাত সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষবেন না, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরতে হবে। ‘আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মুখোশ পরুন, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ পরুন।’


বাইরে বেরোবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান। সু্স্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


সবাই করো সংগ্রাম........ অষ্টম পর্ব
                কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ফিরে আয়, ফিরে আয় ওরে!
             ফিরে আয় তোরা আপন ঘরে।
দিকে দিকে আজ লক-ডাউন
             তাই যাসনে ঘরের বাহিরে....


দুই হাতে দুই গ্লোভস রেখে,
মাস্ক দিয়ে মুখ রাখরে ঢেকে,
নিস্তার পেতে ভাইরাস থেকে,
   দূরত্ব বজায় তুই রাখ্ রে.....


ফিরে আয়, ফিরে আয় ওরে!
             ফিরে আয় তোরা আপন ঘরে।
দিকে দিকে আজ লক-ডাউন
             তাই যাসনে ঘরের বাহিরে....


ফিরে আয় তোরা ফিরে আয় ওরে,
বিশ্বত্রাস ভাইরাস সারা বিশ্ব জুড়ে,
আত্মীয় পরিজন থেকে থাক্ দূরে,
             নইলে পরিত্রাণ আর নাহি রে......


হাত ধুয়ে নে ভাই ওরে অভাজন,
করোনা ভাইরাস হবেনা সংক্রমণ,
মরণে জীবন আবার জীবনে মরণ,


কহিছে লক্ষ্মণ শুন দিয়ে মন ......
ওরে ও........................... মন আমার.............


কহিছে লক্ষ্মণ শুন দিয়ে মন
              শঙ্কা তো আর নাহি রে।
বাঁচার তরে করিবি লড়াই,
              ভয় নাই, ভয় নাহি রে....


ফিরে আয়, ফিরে আয় ওরে!
             ফিরে আয় তোরা আপন ঘরে।
দিকে দিকে আজ লক-ডাউন
             তাই যাসনে ঘরের বাহিরে....
রচনাকাল : ৮/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  China : 11  Europe : 26  France : 5  Germany : 2  India : 101  Iran, Islamic R : 1  Ireland : 13  Romania : 3  Russian Federat : 9  
Saudi Arabia : 10  Sweden : 13  Ukraine : 6  United Kingdom : 8  United States : 105  Vietnam : 1  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  China : 11  Europe : 26  France : 5  
Germany : 2  India : 101  Iran, Islamic R : 1  Ireland : 13  
Romania : 3  Russian Federat : 9  Saudi Arabia : 10  Sweden : 13  
Ukraine : 6  United Kingdom : 8  United States : 105  Vietnam : 1  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার। সবাই করো সংগ্রাম........ অষ্টম পর্ব by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১১০০৯৪৮১
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী