করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার।
সবাই করো সংগ্রাম........ ষষ্ঠ পর্ব
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
কোন এক কুক্ষণে এসেছিল নোভেল করোনা ভাইরাস। তাই আজ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সর্বপ্রথম আক্রান্ত হলো চীন। শুধু চীন রাষ্ট্র নয়, বিপন্ন হয়েছে ইতালি, ইরান, ইরাক, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহু দেশ। মৃত্যুর মুখে আজ সারা বিশ্ববাসী। মারণ সংগ্রামের প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার জন সচেতনতা। স্যানিটাইজার ব্যবহার, ২০ সেকেণ্ড পর্যন্ত হাত দুটি পরিষ্কার করা। মুখে থাকুক মাস্ক। ভিড় ও জনবহুল স্থান থেকে দূরে থাকুন।
আজ করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে সাধারণ মানুষকেও উৎকণ্ঠায় ফেলেছে। মানুষ প্রতিরোধের পথ খুঁজছে। সংক্রমণ এড়াতে চাইছে সবাই। হাত পরিষ্কার রাখা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার একটি প্রধান উপায়। বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনাভাইরাস দমনে সাবানই যথেষ্ট।
বিতর্ক বা আলোচনা শুরু হয়েছে, হঠাৎ করে বাজার থেকে হাত পরিষ্কার করার দ্রবণ হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার উধাও হয়ে যাওয়া এবং দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। সেই থেকেই হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার কিনতে তোড়জোড় শুরু করে লোকজন। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বাধ্য হয়ে এর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বলেছে, বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।
সাধারণ মানুষের কাছে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার খুব বেশি পরিচিত জিনিস নয়। এই দ্রবণে অন্যান্য রাসায়নিকের সঙ্গে অ্যালকোহলও থাকে। তালুতে ঢেলে ঘষলেই কিছুক্ষণ পর তা শুকিয়ে যায়। হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য মূলত চিকিৎসকেরাই এটা নিয়মিত ব্যবহার করেন। নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীও তা ব্যবহার করেন। যাঁরা পরীক্ষাগারে কাজ করেন, তাঁরাও এটা নিয়মিত ব্যবহার করেন। তাঁদের বাইরে আরও অনেকে ব্যবহার করছেন হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হাতে নোংরা দৃশ্যমান হলে সাবান দিয়ে ধুতে হবে। হাতের নোংরা দৃশ্যমান না হলে অ্যালকোহলসমৃদ্ধ হ্যাণ্ড রাব (হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার) অথবা সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুলে ভাইরাস মারা যায়।’ হ্যাণ্ড স্যানিটাইজারের পেছনে দৌড়াদৌড়ি না করে মানুষ নিশ্চিন্তে সাবান ব্যবহার করতে পারে।
বাইরে বেরোবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান।
সু্স্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
সবাই করো সংগ্রাম........ ষষ্ঠ পর্ব
কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
করোনার বিষে দেশ ছেয়ে গেছে
পৃথিবী হয়েছে নীল,
বন্ধ ঘরে তাই বসে থাকা দায়
বাঁচা হলো মুশকিল।
স্যানিটাইজার করো ব্যবহার
হাত ধুয়ো বারেবার,
হাত ধুলে তবে জীবাণু না রবে
করোনার প্রতিকার।
বন্দী থাকো ঘরে যেও না বাইরে
লকডাউন দিকে দিকে,
যদি বাইরে যাও গ্লোভস পরে নাও
মাস্ক নাও মুখে ঢেকে।
মানুষে মানুষে করোনার বিষে
হয় যদি সংক্রমণ,
জ্বর, সর্দি, কাশি মাথাব্যথা হাঁচি
ভাইরাসের লক্ষণ।
যে যেথায় থাকো দুরত্ব যদি রাখো
হবে না সংক্রমণ,
করোনার বিষ হবে নিঃশেষ
কহে কবি শ্রীলক্ষ্মণ।
রচনাকাল : ৮/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।