গ্রামে বসে পাঠশালা, একচালা ঘরেতে,
পাঠশালা ঘেরা আছে দরমার বেড়াতে।
ঢেকে আছে চারিপাশ, গাছপালা - পুকুরে,
গরম লাগে না তাই, গ্রীষ্মের দুপুরে।।
পাঠশালে ছেলে সব, হাতে নিয়ে আসে বই,
পড়াশুনায় ফাঁকিবাজি, শুধু করে হই-চই।
গুরুমশাই ছাতা মাথায়, পাঠশালে ঢোকে যেই,
ছেলেগুলো চুপচাপ,মুখে কোন 'রা' নেই।।
তালপাতার পাখা দিয়ে, হাওয়া খায় সজোরে,
ছিপছিপে বেত নিয়ে, বসে আছে চেয়ারে।
এরপরে গুরুমশাই, নামতা টা পড়ছে,
দুলে দুলে, সুর করে, ওরা তাই বলছে।।
খাতাগুলো বার করে, অঙ্কটা লিখে নে,
মন দিয়ে তাড়াতাড়ি, অঙ্কটা কষে নে।
এই বলে গুরুমশাই, মাথা রাখে চেয়ারে,
ঘন ঘন নাক ডাকে,কি যে সুর আহা রে!
এই ফাঁকে ছেলেরা,গুটি গুটি বেরিয়ে,
কাঁচা আম পেড়ে খায়, নুন দিয়ে মাখিয়ে।
তারপরে মেতে ওঠে, গল্প আর খেলাতে,
ঠেলাঠেলি, হাতাহাতি তাও চলে ঘরেতে।।
হঠাৎ জেগে বলে, অঙ্কটা কষেছিস?
খাতাগুলো দেখা দেখি, কি তোরা শিখেছিস?
এরই ফাঁকে ঢং ঢং, ঘণ্টা যেই বাজলো,
আজ নয় কাল হবে, বলে বাড়ি ছুটলো।।
রচনাকাল : ৭/৬/২০২০
© কিশলয় এবং রূপক ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।