বসন্তে রং লাগে মনে….. পুলক জাগে হৃদয়ে
বসন্ত আসিল আজি পঞ্চম পর্ব
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বসন্ত এসে গেছে। প্রকৃতি সেজে উঠছে নানা রঙে। ঋতুরাজের আগমনে প্রকৃতির মতো মানুষের মনেও ছড়িয়ে পড়ে বসন্তের রঙ। বসন্তকে বরণ করে নিতে তাই প্রকৃতির রঙে রঙ মিলিয়ে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। আর গান ছাড়া তো উৎসব একেবারেই ম্লান। তাই বসন্তকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা গান।
গাছে গাছে ইতিমধ্যেই শিমূল, পলাশে রঙ ধরতে শুরু করেছে। রঙ ধরতে শুরু করেছে মানুষের মনেও। বসন্ত মানেই তো রঙের আবাহন। শীত শেষে বসন্তের আগমন মনে অন্য এক দোলা দিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার পয়লা ফাল্গুন। বসন্তের শুরু। আকাশ বাতাসও বলছে বসন্তে এসে গেছে। তাও আবার এমন একটা দিনে যেদিন প্রেমের দিন। ভালবাসার দিন। প্রেমের দিনে বসন্তের আগমন। এ তো রাজযোটক। ভ্যালেন্টাইনস ডে কে সামনে রেখে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই তারুণ্যের জোয়ার। প্রেমের জোয়ার।
মায়াময় বসন্ত সবাইকে কেড়ে নেয় নিজের ভালবাসার মোহে। যেন প্রেমিকা তার প্রেমিককে মায়া বন্ধনী দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে, তেমনি নব ফাগুন সবাইকে নিজের মায়ামন্ত্রে আচ্ছন্ন করে রাখে। নব বসন্ত বাঙালির প্রাণে নতুনত্বে প্রাণ সঞ্চার করুক এটাই হোক বসন্ত বরণের অভিপ্রায়। আসুন, আমরা সবাই নব বসন্তের রঙে রাঙিয়ে তুলি নিজেদের। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
নব বসন্তের কবিতা – ৫
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ফাল্গুনে ফুল ফোটে
পাখি গায় গীত,
বসন্ত এলো ভাই
নাই আজ শীত।
শিমূল পলাশ বনে
ফুটে ফুল কলি,
গুঞ্জরিয়া আসে তাই
পুঞ্জে পুঞ্জে অলি।
নব নব কিশলয়
হেরি তরুশাখে,
আমবনে কোকিলেরা
কুহু স্বরে ডাকে।
রাঙাপথ এসে মিশে
অজয়ের ঘাটে,
দিবসের অবসানে
সূর্য বসে পাটে।
নদীবাঁকে শেয়ালেরা
করে হাঁকাহাঁকি,
রাত কাটে ভোর হয়
ডেকে উঠে পাখি।
রচনাকাল : ৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।