বসন্তে রং লাগে মনে…… পুলক জাগে হৃদয়ে
বসন্ত আসিল আজি প্রথম পর্ব।
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ফাগুনে জেগে ওঠে বৈচিত্র্যের সমাহার। জেগে ওঠে বাংলার যৌবনোদীপ্ত নবরূপ। শীতের পাতাঝরা থেকে বিদায় নিয়ে প্রকৃতির কোলে ফাগুন এনে দেয় একটি নব জন্মের আহ্বান। গাছে গাছে নতুন পত্রপল্লব।দিকে দিকে ফুলের সমাহার। কোনো রেনুকার বেনুকায় শোভা পায় পুষ্পমঞ্জরীর ঢালি।
কবিদের কণ্ঠে বাজে “আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে” এরূপ আরো অনেক কাব্য, গান, ছড়া, উপন্যাস কবি- সাহিত্যিকদের মনে সাড়া দেয় এই বসন্ত।
বাংলার ঋতুদের মধ্যে সর্বশেষ এই ঋতুরাজ বসন্ত। ফাল্গুন আর চৈত্র নিয়েই এই বসন্ত। ফাল্গুন শব্দটি এসেছে ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে আর চৈত্র শব্দটি এসেছে চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে। শীতের খানিকটা রুক্ষতা পেরিয়ে আর্বিভাব হয় বসন্তের।
মায়াময় বসন্ত সবাইকে কেড়ে নেয় নিজের ভালবাসার মোহে। যেন প্রেমিকা তার প্রেমিককে মায়া বন্ধনী দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে, তেমনি নব ফাগুন সবাইকে নিজের মায়ামন্ত্রে আচ্ছন্ন করে রাখে।
নব বসন্ত বাঙালির প্রাণে নতুনত্বে প্রাণ সঞ্চার করুক এটাই হোক বসন্ত বরণের অভিপ্রায়। আসুন, আমরা সবাই নব বসন্তের রঙে রাঙিয়ে তুলি নিজেদের। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
নব বসন্তের কবিতা-১
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বসন্ত আসিল আজি বসুধার মাঝে,
প্রকৃতি সাজিল তাই অপরূপ সাজে।
তরুশাখে ফুলেফলে পাতায় পাতায়,
বসন্তের রং লাগে পাখি গীত গায়।
প্রভাতপাখিরা জাগে সোনারোদ ঝরে,
শালিকের দল নাচে অজয়ের চরে।
নব নব কিশলয় তরুর শাখায়,
পবন পরশে দোলে স্নিগ্ধ হাওয়ায়।
বসন্তের দোলা লাগে দেহ মন প্রাণে,
প্রাণ মন আবেশিত কোকিলের গানে।
গুন গুন করে অলি পুষ্পিত কাননে,
বসন্তের রং লাগে পলাশের বনে।
বসন্ত এলো আজি এই বসুধায়,
পাখি সব করে রব সুরে গীত গায়।
রচনাকাল : ৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।