আমার স্বরচিত একটি রসাত্মক কবিতা
মুশকিল আসান
মন্দিরে ঝুলছে তালা দেবতা পালান স্বর্গে
করোনা ত্রাসে মর্ত্য ছাড়েন স্বজন পরিবারবর্গে।
জঠর জ্বালায় হলেন কাবু দেবতারা যে অভুক্ত
স্বর্গে নেই হোম ডেলিভারি ভাত ভাল আর শুক্তো।
কেবা করে আহার জোগাড় কেবা দেবে ভোগ
রেডিমেড খেয়ে দেবতাদের ধরেছে বাতের রোগ।
স্বর্গ বাসী নারদ কহেন নারায়ন নারায়ন
এত দুর্ভোগের ভোগ শুধু করোনার ই কারণ।
পিতামহ শুধান তারে মর্ত্যের কি সমাচার
নারদ কহেন কিবা বলি সেথায় চলছে অনাচার।
লকডাউন অমান্য করে পথে ঘুরে বেড়ায়
অদ্ভুত ভাবে নৃত্য করে করোনা ভাইরাস তাড়ায়।
পুলিশ পেটায় গালাগালি দেয় নরপিশাচের দল
শায়েস্তা করতে পুলিশের হাতে লাঠি টাই সম্বল।
খবর শুনে ভোলা বাবা রেগে অগ্নিশর্মা
তাণ্ডব নৃত্য করেন শুরু ত্রস্ত বিশ্বকর্মা।
পার্বতী ছুটে নিয়ে আসেন কামধেনু র দুগ্ধ
পতির মাথায় ধারা দিতেই পতি মন্ত্রমুগ্ধ।
তারি মাঝে গোল বাধায় কার্তিক গজানন
নকুল দানায় ভাগ বসায় লক্ষী নারায়ন।
দুই ভাই উদ্যত হয় যাবার তরে মর্ত্যে
পূজারীকে আনতে হবে যেকোনো রূপ শর্তে।
মা বলেন না না বাছা মর্ত্যে র কড়া আইন
ভিনদেশী দেখলে পরে পাঠাবে কোয়ারেন্টাইন।
ময়ূর হল মুশকিল আসান যায় পূজারীর দ্বারে
দেবতাদের দুর্দশার কথা বলল সবিস্তারে।
পূজারী কহেন যদি পাই লক্ষীর ধনধান্য
মর্ত্য ছেড়ে যাবো আমি করলে শর্ত মান্য।
পূজারী দেখে দেবতারা ফেলেন স্বস্তির শ্বাস
নানান ভোগে তৃপ্ত হলেন ভাঙলো উপবাস।
আনন্দে তাই আত্মহারা পেটুক গজানন
সুখ শয্যায় মুচকি হাসেন পিতামহ চতুরানন
রচনাকাল : ৩০/৫/২০২০
© কিশলয় এবং যুথিকা দেবনাথ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।