মিঠাই এর সেই দুলটা না? বাড়ির পেছনের বাগানের জঙ্গল পরিস্কার হওয়ায় এতদিন পর খুঁজে পেলাম।মিঠাই এর কানে ওই ঝুমকো দুলটা ভারী মানাতো। সুবর্ণ মিঠাই এর একটা ছবি এঁকেছিল ।ছবিটির নাম দিয়েছিল ঝুমকোলতা।আমি আঁকা গান কবিতা সাহিত্যমুখী কোনদিন নই।ফুটবল আর এই কম্পিউটারে কাজ করা বাদে আর কোন জগতে আমার বিচরণে আগ্রহ নেই তেমন।মিঠাইকে সুবর্ণর এই রঙীন প্রশংসা আমার ভেতরের কালো মানুষটাকে কিছুতেই আলো দেখাতে পারেনি। কখনও কাউকে প্রচণ্ড ভালোবাসলেও তার কষ্ট পাওয়া দেখে সাময়িক তৃপ্তি পাওয়া যায় । পছন্দের দুলটা খুঁজে না পেয়ে ও খুব কেঁদেছিল।জোড়ার একটা হারিয়ে গেছিল।আমিও এই ভেবে খুশি হয়েছিলাম যে আর কোনোদিন সুবর্ণ ঝুমকোলতার সাজে মিঠাইকে দেখতে পারবেনা।শিল্পী বন্ধুর শিল্পকর্মের কুপ্রভাব আমার মিঠাইকে শিল্পের অছিলায় আর বশীভূত করতেও পারবেনা।
মিঠাই এখন তারার দেশে। দুলটা আজ অপ্রয়োজনীয়। মিঠাই আকাশ থেকে সব দেখছে আর বলছে তুমি সেদিন কানের দুলটা লুকিয়ে বাগানে ছুড়ে ফেলেছিলে ।আমি টের পাইনি ।অনেকখুঁজেছি। প্রিয় দুলটা হারিয়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।আজ তুমি আমাকে হারিয়ে কষ্ট পাচ্ছ। সময় তোমাকে হারিয়ে দিয়েছে। কষ্টরাও প্রতিশোধ নেয় তাহলে।
রচনাকাল : ১৬/৫/২০২০
© কিশলয় এবং অর্পিতা চক্রবর্তী কণ্ঠ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।